পালটাপালটি কূটনীতিক প্রত্যাহার
মাথাভাঙ্গা মনিটর: পালটাপালটি কূটনীতিক প্রত্যাহারের ঘটনায় ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে চরম টানাপড়েন চলছে। পাকিস্তানের সাথে দ্বিপক্ষীয় নিয়মিতো কার্যক্রমেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোনো অভিযোগ ছাড়া বাংলাদেশি কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য করায় দেশটির সাথে আসন্ন পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনিশ্চয়তায় পড়েছে। দীর্ঘদিনের আলোচনার প্রেক্ষিতে আগামী মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি’র বৈঠক ঠিক হয়েছিলো। এ বৈঠকে নেতৃত্ব দিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরের কথা ছিলো। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে পাকিস্তানি কূটনীতিক প্রত্যাহারের জেরে বাংলাদেশি কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে প্রত্যাহারের সময়সীমা বেধে দেয়ার প্রতিবাদ হিসেবে ঢাকা ওই বৈঠকটি বাতিল করতে পারে! এদিকে বাংলাদেশি কূটনীতিককে ফেরত নিতে বাধ্য করার ঘটনাকে পাকিস্তানের বাড়াবাড়ি হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ। এ ঘটনা ২ দেশের সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। গতকাল নিজ দফতরে গণমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধির কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে কেন প্রত্যাহার করতে হবে এর কোনো ব্যাখ্যা পাকিস্তান দিতে পারেনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কূটনৈতিক দায়মুক্তির (ডিপ্লোমেটিক ইমপিউনিটি) সুযোগ নিয়ে কাউকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দেয়া হবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার বিকালে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসেনকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। হাইকমিশনের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে সাথে নিয়ে সোহরাব হোসেন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) মোহাম্মদ ফয়সালের সাথে দেখা করতে যান। এ সময় মোহাম্মদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে মৌসুমী রহমানকে ইসলামাবাদ থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু মৌসুমী রহমানকে বাংলাদেশ কেন ফিরিয়ে নেবে, সে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।