স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা কালিয়াবকরির গৃহবধূকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মাঠে গণধর্ষণ মামলায় বাশার, হাসান ও আরিফককে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মানবতা ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মামলার বাদী এদের নামসহ ৭জনকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় এজাহার পেশ করলেও পুলিশ ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করে। ২২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াবকবির গৃবধূকে ঘরের বারান্দা থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে একদল লম্পট। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে উত্তেজনা ছাড়ায়। গ্রামবাসী রবিউল ও সাদ্দামকে ধরে পিটুনির পর পুলিশে দেয়। দামুড়হুদা থানায় মামলা করা হয়। মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, কালয়াকবরির জালাল হোসেনের ছেলে রবিউল, মৃত জেন্নাত শেখের ছেলে সাদ্দাম, নূর ইসলামের ছেলে আবুল বাসার, কুদ্দুসের ছেলে হাসান, ও শরিফ শেখের ছেলে আরিফুলের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় বাদী মামলা করতে গেলে পুলিশ বাশার, হানান ও আরিফের নাম বাদ দিয়ে বাকি ৪ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করে। ৩ জনের নাম বাদ দেয়ায় গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে আবেদন পেশ করে। মামলার বাদী আইনগত সহায়তা চেয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন করেন। গতকাল ৩ জনের নাম মামলায় অন্তর্ভৃক্তির আবেদন জানালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার উল্লেখিত ৩ জনের নাম মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করে পুলিশি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
মানবতা ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বাদীর এ আদালতে পেশে আইনগত সহযোগিতায় ছিলেন অ্যাড. মানি খন্দকার, অ্যাড. আব্দুল মালেক, অ্যাড. মমতাজ বেগম ও অ্যাড. জিল্লুর রমান জালাল।