বাল্যবিয়ে দেয়ার দু সপ্তাহ পর মেহেরপুরে জামাই-শ^শুর শ্রীঘরে

মেহেরপুর অফিস: মেয়ের বাল্যবিয়ে দিয়ে ফেঁসে গেলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ শালিকা গ্রামের মিজারুল ইসলাম (৪০)। গতকাল সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার রাতে একই অপরাধে মিজারুলের জামাই গাংনী শহরের বাসস্ট্যান্ডপাড়ার মারুফ হোসেনকে (২৪) ২৫ দিনের কারাদণ্ড দেন গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রাহাত মান্নান। দণ্ডিত জামাই-শ^শুর এখন মেহেরপুর জেলা কারাগারে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ শালিকা গ্রামের কৃষক মিজারুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মেরিনা খাতুনের সাথে দু সপ্তাহ আগে গাংনী শহরের মতিয়ার হোসেনের ছেলে মারুফের বিয়ে হয়। নব দম্পত্তি ঘর-সংসার করলেও রোববার সন্ধ্যায় বাল্যবিয়ের খবর পায় জেলা প্রশাসন। রাতেই নিজ বাড়ি থেকে মারুফকে এবং গতকাল দুপুরে তার শ^শুর মিজারুলকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে মিজারুলকে ৭ দিন ও মারুফকে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই মারুফকে এবং গতকাল দুপুরে মিজারুলকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জরিমানার অর্থ দণ্ডিতরা পরিশোধ করেছেন। তবে মেরিনার বিয়ের পুর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত সে পিতার পরিবারে থেকে লেখাপড়া করবে বলে তার পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুজ্জামান।