দর্শনা অফিস: দর্শনা থেকে নসিমনে চড়ে কর্মস্থল দামুড়হুদার রুদ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন নাজমা খাতুন। দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের গোপালখালী ব্রিজের অদূরে চলন্ত নসিমনের চাকা খুলে ঘটে দুর্ঘটনা। গুরুতর আহত হন প্রধান শিক্ষক নাজমা। টানা ৫ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে দর্শনা আজমপুরের হারুন অর রশিদ শিক্ষকের স্ত্রী দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের রুদ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নসিমনযোগে। দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের গোপালখালী ব্রিজের অদূরে পৌঁছুলে চলন্ত নসিমনের সামনের চাকা খুলে ঘটে দুর্ঘটনা। নসিমন থেকে ছিটকে পাকা রাস্তার ওপর পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান নাজমা খাতুন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎকরা রেফার করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান টানা ৫ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে মারা যান নাজমা খাতুন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোক। ২ সন্তানেরর জননী নাজমার লাশ দুপুর ২টার দিকে বাড়িতে আনা হলে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। বিকেলে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কেরুজ বাজার মাঠে। জানাজা শেষে দর্শনা পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি খন্দকার শওকত আলীর বোন নাজমা খাতুনের লাশ নেয়া হয় তার কর্মস্থল রুদ্রনগর স্কুলে। সেখানে সকাল থেকেই অপেক্ষারত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সন্ধ্যায় ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার গ্রামের বাড়ি ধান্যঘরা ঈদগা মাঠে। পরে ধান্যঘরা পারিবারিক গোরস্থানে নাজমার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
শিক্ষক নাজমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, দর্শনা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মতিয়ার রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী শাহ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, দর্শনা পৌর কাউন্সিলর রবিউল হক সুমন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা স্বরুপ কুমার দাস, হারুন অর রশিদ জুয়েলসহ শিক্ষকবৃন্দ।