৫ম ও ৮ম শ্রেণির সমাপনী এবং ইবতেদায়ি ও জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার ফলাফল গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। সকল পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক এবং পূর্ব ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে। জেএসসি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার ফলাফল আশাব্যাঞ্জক।
৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৮ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার পাসের হার ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ। ইবতেদায়ি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ ফলাফল দৃষ্টে সানন্দে বলা যায়, ছোটরা অনেক বড় ধরনের সাফল্য প্রদর্শন করেছে। চুয়াডাঙ্গার ফলাফলও বেশ আশা জাগিয়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষায় ১শ ৬ ছাত্রীর ‘এ’ প্লাস পাওয়ার গৌরব শিক্ষার মান বৃদ্ধিরই সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকল বিষয়ে ‘এ’ প্লাস পেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেই ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তুলনায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এগিয়ে। সকল কৃতী শিক্ষার্থীকে উষ্ণ অভিনন্দন।
শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও ধারাবাহিক সাফল্যের নজির স্থাপন হয়েছে। গত শুক্রবার ১ জানুয়ারি সারাদেশে বই উৎসব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের পেছনে যথাসময়ে পাঠ্যবই হাতে পাওয়ার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। ৮ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের চেয়ে ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। একইভাবে জুনিয়র দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের চেয়ে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। তুলনামূলকভাবে ছোটরা ভালো ফল উপহার দিয়েছে বা সাফল্য দেখিয়েছে। এখানে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আমরা বিশেষভাবে সাধুবাদ জানাই।
পাসের হার বৃদ্ধি শিক্ষার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিচায়ক বটে; তবে তা একমাত্র নয়। পাসের হার বৃদ্ধি সবসময় বা সবক্ষেত্রে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মানের নিশ্চয়তা বিধান করে না। আবার পরীক্ষার উত্তরপত্রও যে সকল শিক্ষকের নিকট যথাযথ মূল্যায়ন হয় তাও হলফ করে বলা যায় না। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়- এ দুটি বিষয়ে ‘এ’ প্লাস পায়নি অনেকে। অভিজ্ঞজনের অনেকের অভিমত, যে শিক্ষক খাতা মূল্যায়ন করেছেন তার মূল্যায়ন দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অবশ্য এসবই অনুমান নির্ভর। তারপরও চুয়াডাঙ্গার দুটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনায় বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে চুয়াডাঙ্গায় গড়ে ওঠা সুষ্ঠু ধারার প্রতিযোগিতা অক্ষুণ্ণ রাখতে অবশ্যই বিদ্যালয় দুটির শিক্ষকমণ্ডলীকে শিক্ষাদানে আরো আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনোনিবেশ করার মতো দক্ষতা শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।