বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তেও নজরদারি বাড়ছে বিএসএফের

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তেও নজরদারি বাড়াতে নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এসব প্রযুক্তি এখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যবহার করছে ওই বাহিনী। বিএসএফ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে কলকাতার সংবাদমাধ্যম সূত্রে বলা হয়েছে, নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে দায়িত্বরত বিএসএফের জন্য আনা হচ্ছে লং রেঞ্জ রিকনসেনসেস অ্যান্ড অবজারভেশন সিস্টেম বা এলআরআরওএস, হ্যান্ডহোল থার্মল ইমেজার বা এইচএইচটিআই, ব্যাটল ফিল্ড সার্ভিল্যান্স রাডার বা বিএফএসআর এবং নাইট ভিশন গগলস ক্যামেরা। এতোদিন এ সীমান্তে সাধারণ দুরবিন দিয়ে নজরদারি চালানো হতো। এবার এলআরআরওএস ক্যামেরা দিয়ে দিনে-রাতে সমানভাবে বহুদূর থেকে নজরদারি চালানো যাবে। পাশাপাশি এইচএইচটিআই এর মাধ্যমে ৫ কিলোমিটার দূরের ছবিও বিএসএফের কন্ট্রোলরুমে পৌঁছানো যাবে। খুব শিগগিরই এসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বরত বিএসএফের হাতে আসছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় নজরদারি বাড়াতে একটি ভাসমান সীমান্ত চৌকি এবং স্থল সীমান্ত এলাকায় আরও ৫টি নতুন সীমান্ত চৌঁকি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে একটি ভাসমান সীমান্ত চৌকি। স্থলসীমান্ত ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে ১৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌ সীমান্তও রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনেই রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌ সীমান্ত। ওই সীমান্ত এলাকাকে আরও নজরদারিতে আনার জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন একটি ভাসমান সীমান্ত চৌকি। বর্তমানে সুন্দরবনের শামশেরনগরে একটি ভাসমান সীমান্ত চৌকি রয়েছে। বাংলাদেশ স্থল ও নৌ সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনো সন্ত্রাসী বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হতে না পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ।