মাথাভাঙ্গা মনিটর: বেশ ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অনেকটা ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ অবস্থা। একদিকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরার অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ আমির, অন্যদিকে ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী ও ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিলেন আজহার ও হাফিজ। প্রতিবাদে ক্যাম্পেও যোগ দেননি দুজন। তবে ঝামেলা আপাতত মিটে গেছে। পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের সাথে আলোচনার পর দুজনই আমিরের সাথে অনুশীলন করতে রাজি হয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির নিউজিল্যান্ড সফর উপলক্ষে এই মুহূর্তে লাহোরে ফিটনেস ক্যাম্প করছে পাকিস্তান জাতীয় দল। স্পট ফিক্সিঙের দায়ে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আমির ডাক পেয়েছিলেন সেই ক্যাম্পে। এটিতেই আপত্তি ছিলো আজহার ও হাফিজের। একজন কলঙ্কিত খেলোয়াড়ের সাথে খেলবেন না জানিয়ে ক্যাম্পে যোগ দেননি দুজন। এর আগে গত নভেম্বরে ‘আমির খেলছেন’ এ কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে খেলার প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হাফিজ। সব মিলিয়ে অবস্থা কিছুটা জটিল হয়ে যাচ্ছিলো। সেটির সমাধান করতে গতকাল পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান আলোচনায় বসেছিলেন হাফিজ ও আজহারের সাথে। দু খেলোয়াড়কে নাকি এই ‘বিদ্রোহে’র কারণে জরিমানা ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার হুমকি দেন শাহরিয়ার। তারপর দু খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে দেখা গেল আমিরের পাশে।
হাফিজ ও আজহার অবশ্য আমিরের প্রতি তাদের কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিলো না বলেই জানিয়েছেন। দুজনই বলেছেন, এটি তাদের নৈতিকতার লড়াই। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এমন যেকারও বিরুদ্ধেই তাদের এমন অবস্থান সব সময় থাকবে জানিয়ে অধিনায়ক আজহার বলেছেন, আমি একজন গড়পড়তা খেলোয়াড় হলেও পাকিস্তানের হয়ে খেলা আমার কাছে গর্বের এবং পাকিস্তানের সাফল্যের জন্য আমি সবসময়ই অবদান রাখার চেষ্টা করবো। অধিনায়ক হিসেবেও সব খেলোয়াড়কে সাহায্য করবো। হাফিজের কণ্ঠেও ছিলো প্রায় একই সুর, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমার অবস্থান কোনো একজনের বিপক্ষে ছিলো না বরং দুর্নীতির সাথে জড়িত সকলের বিপক্ষে। এদিকে আমিরও নাকি গতকাল শনিবার ফিটনেস ক্যাম্পে হাফিজ ও আজহার উপস্থিতিতে এক সভায় দলের সকল সদস্যের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।