দর্শনা অফিস: বরাবর লোকসান গোনা দর্শনা কেরুজ চিনিকলটি এবার লাভের আশায় পথচলা শুরু করবে আজ ২৫ ডিসেম্বর। মুনাফা অর্জনের চিন্তাধারায় এবার শাদামাটা পরিবেশেই মিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করছে কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রহণ করেছে কার্যকরি পদক্ষেপ। গত ৪ আখ মাড়াই মরসুমের ৩৭ কোটি টাকার গোডাউন ভর্তি চিনির বোঝা মাথায় নিয়েই যাত্রা শুরু করা হচ্ছে। আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করার আগে মিল ধোয়া, মোছা, ঝালাই, জোড়া-তালি, রঙ-চুনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বয়লারে স্লো-ফায়ারিং। আজ সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন ডোঙায় আখ নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে ২০১৫-১৬ মাড়াই মরসুমের শুভ সূচনা করবেন। এর আগে ক্যান ক্যারিয়ার চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল। এবারের আখ মাড়াই মরসুমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে লক্ষ্যমাত্রা যা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা হচ্ছে, ১০০ মাড়াই দিবসে ১ লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৭ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন করতে হবে। এ মরসুমে মিলের নিজস্ব ১২ হাজার ৩শ একর জমিসহ ৮ হাজার ৮৭০ একর জমিতে আখ রয়েছে। যা মাড়াই করলে ৯০ মাড়াই দিবসে ৯০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করা সম্ভব হতে পারে। এতে চিনি উৎপাদন হতে পারে ৬ হাজার মেট্রিক টন। বয়সের ভারে জরাজীর্ণ মিলটির চিনি আহরণের গড় হার ৭ দশমিক নির্ধারণ করা হলেও তা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আখের ফলন ভালো হলে করপোরেশনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। মিলটি বড় ধরনের যান্ত্রিক ক্রুটির কবলে না পড়লে লোকসানের পরিবর্তে লাভের মুখ দেখতে পারে বলে ধারণা করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন। এদিকে গত ৪ আখ মাড়াই মরসুমের প্রচুর পরিমাণ চিনির মধ্যে এখনো ১০ হাজার মেট্রিকটন চিনি রয়েছে অবিক্রিত। চিনি বিক্রির নানা কৌশল অবলম্বন করে মিল কর্তৃপক্ষ অর্ধেকের বেশি চিনি বিক্রি করেছে। তবে এখনো মিলের কয়েকটি গোডাউন ভর্তি রয়েছে ৩৭ কোটির টাকার চিনি।