মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের চালতলাপাড়ায় ডাকাতিকালে আটক হয়ে গণপিটুনিতে নিহত ইজারুল ইসলামের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গতকাল সোমবার দুপুরে স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বিকেলে তার লাশ নিজ গ্রাম ভবনন্দপুরে দাফন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এলেও এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, ঘরে স্ত্রী থাকলেও তার ছিলো চারিত্রিক দোষ। তাই ডাকাতিকালে বাড়ির সুন্দরী স্ত্রী কিংবা যুবতী মেয়ে থাকলে তাদের প্রতি তার কুনজর পড়তো। নিহত ইজারুলের প্রথম ২টি স্ত্রী বাদ যাওয়ার পরে প্রায় এক দশক আগে সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের রফা শেখের মেয়ে মর্জিনা খাতুনকে বিয়ে করে। ওই ঘরে তার ২ ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নেয়। বড় ছেলে সামিউল (৮), ছোট ছেলে মশিউল (৫) ও একমাত্র মেয়ে আসমা (৩)।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাত ১৫-২০ জন ডাতাকতে আসামি করা হয়। অপর মামলায় ৩-৪শ জন গ্রামবাসীকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের চালতলাপাড়ার সৌদি প্রবাসী মিন্টুর বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে ১৫-২০ জনের একদল ডাকাত ঢুকে লুটপাট করতে থাকে। ওই সময় মিন্টুর স্ত্রী তাহেরা খাতুন ইজারুল নামের এক ডাকাতকে জাপটে ধরে চিৎকার দেন। ওই সময় লোকজন ছুটে এসে ইজারুলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে নিহত হয় ইজারুল ইসলাম নামের ডাকাত। উদ্ধার হয় একটি এলজি (শর্ট গান), একটি চায়নিজ কুড়াল ও ২টি মোবাইলফোন। আহত হয় গৃহকত্রীসহ ৪ জন।