বাংলাদেশের দুই তরুণী আগেই এভারেস্ট জয় করে চমকে দিয়েছে। এবার আমাদের কিশোরী মেয়েরা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলের আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দাপটের সাথে নেপালকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে। এর মধ্যদিয়ে উজ্জ্বল হয়েছে আমাদের দেশ, বাংলাদেশের মুখ।
বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরও একটি পালক। ফুটবলে মহিলাদের জাতীয় বা বয়সভিত্তিক কোনো দলের আন্তর্জাতিক শিরোপা জয় এটাই প্রথম দৃষ্টান্ত। ফাইনাল পর্যন্ত ভারত, ভুটান ও ইরানের মতো শক্ত প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করতে হয়েছে। ভারতের সাথে ড্র করলেও ভুটান ও ইরানকে হারিয়েছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে। সর্বোপরি, এটা বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, ফুটবলে নুতন ইতিহাস সৃষ্টিকারী মেয়েদের প্রায় সকলেই উঠে এসেছে একেবারে তৃণমূল থেকে। এর মধ্যে শুধু ময়মনসিংহের গারো পাহাড় সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রাম কলসিন্দুরের ফুটবলারই ছিল ১০ জন। এরা সকল বাধা টপকে নিজেদের প্রতিভাকেই শুধু মেলে ধরেনি, নারীর অগ্রযাত্রাকে করেছে গতিশীল।
দেশের অগ্রযাত্রার অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি তরুণ সমাজ। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অদম্য তারণ্যের প্রাণশক্তি। শুধু ক্রিকেটেই নয়, বিশ্ব পরিসরেও তথ্যপ্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে সাফল্যের সাক্ষর স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমশ। ফুটবলে কিশোরী মেয়েদের সাফল্যও সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। দরকার উপযুক্ত প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা।