স্বামী হত্যায় জড়িত স্ত্রীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা : শ্বশুড়সহ স্ত্রীর বড় ভাইয়ের আত্মগোপন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার টুটুল আহম্মেদ টোটন ওরফে আরিফুল ইসলাম টুটুলকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে পুলিশে দিয়েছে জনগণ। শাশুড়িকে ছেড়ে দেয়া হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ টুটুলের স্ত্রী নাজমা খাতুনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। আজ সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। মামলার অপর দু আসামি নাজমা খাতুনের পিতা তথা টুটুলের শ্বশুর নূরুল ইসলাম নূরু ও স্ত্রীর বড় ভাই মোস্তফা ওরফে মস্ত আত্মগোপন করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে টুটুলের সাথে একইপাড়ার নূরুল ইসলাম নূরুর মেয়ে নাজমার আনুমানিক ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় এক পুত্রসন্তান আসে। তার বয়স বর্তমানে তিন বছর। এরই মাঝে ৬ মাস আগে টুটুলের সংসার ছেড়ে পিতার বাড়ি গিয়ে ওঠে নাজমা খাতুন। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে টুটুলে বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করা হয়। টুটুল অবশ্য স্ত্রীকে সংসারে ফেরানোর চেষ্টা চালাতে থাকে। গতপরশু শনিবার রাত ৯টার দিকে তার স্ত্রী সন্তানকে ফেরাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ওঠে। জোরাজুরি করে স্ত্রী সন্তানকে নিজের বাড়ি নেয়ার চেষ্টা করলে শ্বশুর ও স্ত্রীর বড় ভাই মারপিট শুরু করে। মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মৃতপ্রায় অবস্থায় টুটুলকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় টুটুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে মারা যায় টুটুল।
টুটুলের মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল সকালে মামলার জন্য সদর থানায় হাজির হন। স্থান রেলওয়ের? নাকি অন্য কোনো? এ প্রশ্ন তুলে পুলিশের তরফে বিলম্ব করা হয়। অবশ্য বিকেলে হালিমা খাতুনের দেয়া এজাহার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম গ্রহণ করেন। অপরদিকে গতকাল সকালেই স্থানীয় জনগণ টুটুল হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে টুটুলের স্ত্রী ও শাশুড়িকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়। বিকেলে রুজুকৃত মামলায় টুটুলের স্ত্রী নাজমা খাতুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। নাজমার মাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার নাজমাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। মামলার মূল দু আসামি মোস্ত ও নূরু আত্মগোপন করেছে। এদিকে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়িতে নেয়া হয় টুটুলের মৃতদেহ। বিকেলে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।