ভোট হলো গণতান্ত্রিক উপায়ে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠি। সে হিসেবে ভোটে নির্বাচিতদের অবশ্যই যোগ্য বলতে হবে। যদিও ক্ষুদ্র পরিসরের স্বল্প সদস্যের কোন সংগঠনে ভোটের লড়াই বিভক্তির ক্ষত সৃষ্টি করে। যে ক্ষত অধিকাংশ সময়েই অগ্রযাত্রার সোপানকে নড়বড়ে করে তোলে। অনেক সময় উন্নয়নেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে তেমন ক্ষতের বদলে উন্নয়নে অবদান সুষ্ঠু রাখার প্রতিযোগিতার ধারা গড়ে উঠবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। অবশ্য এ জন্য নির্বাচিতদেরই উদার হতে হবে, মুক্ত আকাশের মতো উদারতায় সকলকে আগলে রাখতে হবে। সে হিসেবে নির্বাচিতদের দায়িত্ব অনেক। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব এবারই ৫০ বছর অতিক্রম করবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই উৎরাই ঘেরাটোপ পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে অরাজনৈতিক সংগঠনটি। রয়েছে গৌরবগাঁথা ইতিহাসও। সংগঠনটি নিজস্ব অবকাঠামোর ওপর বলিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্নে উদ্দেশ্য ছিলো চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে অবদান রাখা। সেই উদ্দেশে অটল। অবশ্য মাঝে মাঝে নেতৃত্ব সঙ্কটের কারণে বা একক আধিপত্য বিস্তারে স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হলেও উজ্জ্বলতার উদাহরণই বেশি। একটি নির্বাচনের পর বিভক্তি রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দীর্ঘ কয়েক বছর বিভক্তির কষ্ট নিয়ে চলতে হয় সাংবাদিকদের। ২ বছর আগে প্রয়োজনের তাগিদেই একীভূত হয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠন করা হয় কমিটি। ২ বছরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কার্যক্রমে ছিলো চমৎকার ধারাবাহিকতা। সেই ধারাবাহিকতারই অংশ হিসেবে এবারও নির্বাচন এড়িয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। অবশ্য এ উদ্যোগ টপকে নির্বাচন তথা ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয় দুটি প্যানেল। নির্বাচনে জয়-পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে সাংবাদিকদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান প্রেসক্লাবের স্বার্থ সংরক্ষণে সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন।