চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্পের আওতায় তুলাচাষি সমাবেশ ও মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্পের (ফেজ-১) আওতায় তুলাচাষি সমাবেশ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুলা উন্নয়ন  বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জোনের আয়োজনে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায়  চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুন্সিপাড়ায় একটি তুলাক্ষেতের পাশে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক তুলাচাষি অংশগ্রহণ করেন।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্পের (ফেজ-১) প্রকল্প পরিচালক ফরহাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক খাইরুল আবরার, তুলাচাষি মুনসুর আলী, শামসুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও সোহেল রানা, চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের যশোর আঞ্চলিক কর্মকর্তা জাফর আলী, চুয়াডাঙ্গা জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল কবীরসহ কৃষি সম্প্রসারণ ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সমাবেশে  তুলাচাষিরা অভিযোগ করেন ২০১৩ সালে প্রতিমণ তুলার দাম ২ হাজার ৫০০ টাকা হলেও গত বছর ১ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়। এসব কারণে অনেকে তুলাচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে উন্নতমানের হাইব্রিড বীজসহ উপকরণ সরবরাহ এবং তুলার ন্যায্যমূল্য দাবি করা হয় সভায়।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন  জানান, দেশের মোট  চাহিদার ৯৭ ভাগ তুলা বিদেশ থেকে  আমদানি করতে হয়। এজন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে। অথচ পরিকল্পিতভাবে তুলা উৎপাদন করতে পারলে চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ উৎপাদন করা সম্ভব। এ বছর জিনাররা ১ হাজার ৭০০ টাকা দাম ঘোষণা দিলেও  দর কষাকাষির পর তা ২ হাজার ১০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, চাষিরা এখন কোনো ফসল আবাদ করার আগে অন্যান্য ফসলের সাথে লাভ-ক্ষতির তুলনা করেন। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রযুক্তি ও উন্নত জাত সংগ্রহে বর্তমান সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে চলেছে। দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে, বস্ত্রখাতেও স্বয়ংসম্পন্ন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।