গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র আহম্মেদ আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী) আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারের সমর্থকের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চৌগাছা গ্রামে গণসংযোগকালে হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরজুড়ে।
মেয়র আহম্মেদ আলীর অভিযোগ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান শিপুসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে চৌগাছা গ্রামে গণসংযোগকালে আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারের লোকজন ঢুকে পড়ে। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারের লোকজন তার ওপর হামলা চালায় এবং হাসপাতাল বাজার এলাকায় নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে অভিযোগের প্রস্তুতি কথা জানিয়ে সহযোগিতা কামনা করেছেন আহম্মেদ আলী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তার নির্বাচনী মনিটরিং টিমের সদস্যরা চৌগাছা শেষপাড়ার দিকে যান। এ সময় মেয়র আহম্মেদ আলীর লোকজন তার লোকজনকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা গ্রাম থেকে ফিরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, যুবলীগ নেতা আতিয়ার রহমান বান্টুসহ তাদের লোকজন ঘটনার প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
এদিকে চৌগাছার ঘটনার জেরে শহরজুড়ে টান টান উত্তেজনা শুরু হয়। মেয়র আহম্মেদ আলীর সমর্থকরা উত্তরপাড়া, থানা রোডে হাজি মহসিন আলীর অফিস, কাথুলী মোড় ও হাসপাতাল বাজারে জড়ো হতে থাকে। আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারীর পক্ষের লোকজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে রূপ নেয়ার আগেই পুলিশের একটি দল বাজারে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হয়ে স্থান ত্যাগ করে।
বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুক্তার হোসেন। তবে গতরাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলেও জানান তিনি।