স্টাফ রিপোর্টার: অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুত বিচার আইনে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগর কলোনীর সামসুল ওরফে কোপা সামছুকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত এবং ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গত বুধবার চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড.এবিএম মাহমুদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সামসুল চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগর কলোনীর মৃত বুদোর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সামসুল পলাতক ছিলো। খালাস পাওয়া অপর তিন আসামি হলো, সদর উপজেলার নফরকান্দি গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে আলী, ডিঙ্গেদহ খেজুরা গ্রামের কালুর ছেলে আলম ও মৃত মহরের ছেলে জয়নাল। এ সময় খালাসপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলো।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১ জুন রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামে ইজিবাইকে চড়ে পালাগান শুনতে যায় ছোটশলুয়া গ্রামের সাদ আহমেদ, মরজেম হোসেন ও আমাজুল। গান শুনে ফেরার পথে রাত ৩টার দিকে হিজলগাড়ী কবরস্থানের সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছুলে ৩/৪ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চড় থাপ্পড় মেরে টাকা, মোবাইলফোন ও ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়। ওই মামলায় ইজিবাইকচালক ইদবার আলী বাদী হয়ে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ২০১৪ সালের ১১ জুন ওই চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার আসামি সামসুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড.এবিএম মাহমুদুল হক আসামি সামসুলের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার আইন ২০০২ সংশোধনী ১২) এর ৪ ও ৫ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। উভয় ধারায় প্রদত্ত আদেশ একই সাথে কার্যকর হবে। আসামি পলাতক থাকায় তার প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। দণ্ডাদেশ আসামি ধৃত হওয়ার পর অথবা আত্মসমপর্ণের তারিখ ও সময় হতে কার্যকর হবে। আসামি অত্র মামলায় ইতোপূর্বে যতোদিন হাজতবাস করেছেন, তা তার মূল দণ্ডাদেশ হতে বাদ যাবে। মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আলী, আলম ও জয়নালকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. মর্তুজা মো. মিল্টন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ ও নাসির উদ্দিন (৩)।