ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গুলি চালালে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পুলিশের এক কনস্টেবল ইটের আঘাতে আহত হন। আহতরা হলেন- হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল হুমায়ন কবীর, আওয়ামী লীগ কর্মী সুমন, শাহিন বিশ্বাস, রিপন ও পলাশ। এদিকে সংঘর্ষের সময় বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের গুলির শব্দে হাটফাজিলপুর বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার মৃধা গ্রুপের সমর্থক জিল্লুর রহমানকে মারধর করে একই দলের প্রতিপক্ষ আমজাদ মোল্লার লোকজন। এর জের ধরে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে হাটফাজিলপুর বাজারে দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় সংঘর্ষরত আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য হুমায়ন কবির আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে মুক্তার মৃধা গ্রুপের সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী সুমন, শাহিন বিশ্বাস, রিপন ও পলাশ গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাটফাজিলপুর বাজার আওয়ামী লীগ নেতা ও নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন মোল্লার সমর্থকরা দখল করে নিয়েছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধা অভিযোগ করেছেন- হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি জামিরুল ইসলাম পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন। বিনা উস্কানিতে গত রোববার পুলিশ তার সমর্থকদের ওপর গুলি ছুড়েছে। এতে তার ৪ সমর্থক গুলিতে আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি জামিরুল ইসলাম গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তবে কতো রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে তা এখনো হিসাব করা হয়নি। তিনি জানান, ইটের আঘাতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।