জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে আজ সোমবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। গতকাল রোববার ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে ১ ও কাউন্সিলর পদে ২ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আজ সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে প্রার্থী সমর্থক ও ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে কাউন্সিলর পদে ২ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরা হচ্ছেন ৪নং ওয়ার্ডে মানিক শাহ ওরফে মানিক হার এবং ৬নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মিজা। এর আগে গত শনিবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এর ফলে মেয়র পদে ৪, কাউন্সিলর পদে ৩০ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবর্তীর্ণ হলেন। এরা হলেন- মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত বর্তমান মেয়র হাজি মো. নোয়াব আলী, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দীন, স্বতন্ত্র হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাও. সাজেদুর রহমান। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে আপিল মাহমুদ ও হাসানুজ্জামান, ২নং ওয়ার্ডে মিনজুল হক, রফিকুল হাসান, জয়নাল আবেদীন ও সাইদুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান, আতিয়ার রহমান ও শাহাজামাল উদ্দীন, ৪নং ওয়ার্ডে মো. নুর নবী, শোয়েব আহম্মদ ও আব্দুর রশিদ, ৫নং ওয়ার্ডে জামাল হোসেন, খন্দকার আলী আজম, আনারুল ইসলাম, আমীর আলী খাঁ ও শামসুজ্জামান হান্নু, ৬নং ওয়ার্ডে আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান, নাসির উদ্দীন ঠাণ্ডু ও সালাউদ্দীন কবির, ৭নং ওয়ার্ডে নুর আলম, ওয়াসিম রাজা ও আক্তারুজ্জামান, ৮নং ওয়ার্ডে হযরত আলী, আল মামুন ও শহিদুল ইসলাম এবং ৯নং ওয়ার্ডে আলী আহম্মদ, আফতাব উদ্দীন ও মতিয়ার রহমান। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১নং আসনে মাহফুজা পারভীন বিউটি ও মরিয়ম বেগম, ২নং আসনে শেফালি আক্তার, পরিছন বেগম ও খালেদা আলম এবং ৩নং আসনে ফিরোজা বেগম, রেখা খাতুন, রাবেয়া খাতুন ও রিজিয়া বেগম। আজ সোমবার সকাল ১০টা হতে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। নির্বাচনে দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার ইউএনও নুরুল হাফিজ জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার করবেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত প্রতীক লটারির মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।