চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ: অভিযুক্ত আটক

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে শহরের বাসটার্মিনাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘাতক স্বামী পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বিচারের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসি। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসটার্মিনাল পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে মাজেদুল ইসলাম সুমন পুলিশ বাহিনীর সদস্য। সে বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছে। শুক্রবার সে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে। রাতে তার স্ত্রী ফাতেমা নাসরীন সীমা গলাই ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে সকালে প্রচার করতে থাকে।
তবে নিহতের ন্বজন ও এলাকাবাসি জানায়, শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে আতœহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছে। লাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত সীমা খাতুনের চাচা কামাল হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সীমা খাতুনের সাথে ২০০৫ সালে চুয়াডাঙ্গা শহরের বাস টার্মিনাল পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে সুমন আলীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তানও আছে। বড় ছেলে মৃদুলের বয়স ৯ বছর। ছোট ছেলে রাব্বির বয়স ৫ বছর। বিয়ের পর থেকেই সুমন আলী যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রীকে মারধোর করতো। সে মাদকাসক্তও ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে স্বামীর বাড়িতে মারা যায় সীমা খাতুন। সকালে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কনেস্টবল সুমন আলীর বাড়িতে আসে এবং ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ কনেস্টবল সুমন আলী কুস্টিয়া জেলার বাধবাজার পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত থাকা অবস্থায় কয়েকদিন আগে ১০ দিনের ছুটি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আসে। পুলিশ সদস্য সুমনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।