চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাস্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। গত ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কালে সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের কাছে আপিল আবেদন করলে তিনি ৮ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন। তবে, দর্শনা ও জীবননগর পৌরসভায় কোনো প্রার্থীর আবেদন আপিল বিভাগে জমা পড়েনি।
আলমডাঙ্গা পৌরসভায় আপিলে আবেদন নামঞ্জুর হওয়া দু প্রার্থী হলেন, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী রশিদা খাতুন। এদিকে, মেয়র প্রার্থী আলমগীর হোসেন প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) আপিল করতে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী রশিদা খাতুন ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্রে ক্রুটি থাকায় রিটানিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান তা বাতিল করেন। জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন ৩ প্রার্থীই। শুনানি শেষে হাফিজুর রহমানের আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং বাকি ২ প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, সদর পৌরসভা নির্বাচনে যাচাই-বাছাইকালে রিটানিং কর্মকর্তা আনজুমান আরা ৭ কাউন্সিলর প্রার্থীর আবেদন বাতিল করেন। আপিলে ফিরে পাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ৭জন প্রার্থী হলেন, ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাজেদা খাতুন ও শাহানা খাতুন, ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সুফিয়া খাতুন ও ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সোহানা সুলতানা, ৫নং ওয়ার্ডের জানিপ হাসান ও নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার এবং ১নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস আপিলের শুনানি শেষে ৮জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন।
ঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৮ কাউন্সিলর প্রার্থী