স্টাফ রিপোর্টার: পৌরসভা নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ঘিরে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র্যা ব, পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। ভোট গ্রহণের দু দিন আগে থেকেই নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পৌর নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এরই অংশ হিসেবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৩৫টি নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে শুরু হচ্ছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। এসব এলাকায় ২০ ডিসেম্বর থেকে যৌথ অভিযানে নামবে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। জঙ্গি ও জামায়াত-শিবিরের নাশকতার আশঙ্কায় খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশকিছু জেলায় কঠোরভাবে এ অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যে সারাদেশে সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রবাজদের তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতর ও ইসি’র কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, পৌর নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও পেশিশক্তিমুক্ত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যে কোনো ধরনের সহিংসতা মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশনের চাহিদা ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। যাদের কারণে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে পুলিশ এমন পেশাদার ও চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে।