গাংনীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাজির : বিয়ে বন্ধসহ কনের পিতার দণ্ড

???????????????????????????????

গাংনী প্রতিনিধি: শুধু বিয়ে বন্ধই নয়, বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টার অপরাধে কনের পিতাকে অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু জরিমানা পরিশোধ নয় আর কখনো বাল্যবিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকাও দিয়েছেন ওই কনের পিতা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল আমিন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া খাতুন। সোনিয়া খাতুন ভাটপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, সোনিয়ার সাথে সদর উপজেলার সিংহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ফিরোজ হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কনের বাড়িতে বিয়ে করতে আসে বর ও বরযাত্রী। খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল নিয়ে কনের বাড়িতে অভিযানে পৌঁছান। এসময় পালিয়ে যায় বরযাত্রীরা। বাল্যবিয়ের আয়োজনের অপরাধে কনের পিতাকে দোষী সাব্যস্ত করে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা পরিশোধ পূর্বক বাল্যবিয়ে না দেয়ার লিখিত মুচলেকা প্রদান করেন কনের পিতা। একই সাথে সোনিয়াকে আবারো লেখাপড়া করানোর জন্য বিদ্যালয়ে প্রেরণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন কনের পিতা।