কুমিল্লাকে দারুণ জয় এনে দিলেন মালিক

স্টাফ রিপোর্টার: স্নায়ুর চাপকে জয় করে ঠাণ্ডা মাথায় দারুণ এক ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেললেন শোয়েব মালিক। রোমাঞ্চকর ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চিটাগংয়ের ১৩৬ রান তাড়ায় শেষ ভাগে কুমিল্লাকে টানেন মালিক। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৩৪ রানে। সপ্তম ম্যাচে কুমিল্লার এটি পঞ্চম জয়। অষ্টম ম্যাচে ষষ্ঠ হার চিটাগংয়ের। দু দলের আগের লড়াইয়ে কুমিল্লা জিতেছিলো ৭ উইকেটে।
শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিলো ৭ রান। বিলাওয়াল ভাট্ট্রি প্রথম বলটি ছিলো অলক কাপালির মাথার উচ্চতায়। নো বলের সাথে কাপালির ব্যাট থেকেও আসে ১ রান। চতুর্থ বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন মালিক। এর আগে ম্যাচ খানিকটা জমিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। ২২ বলে যখন প্রয়োজন ২৭ রান, হাতে উইকেট ৭টি। ৪ বলের মধ্যে আমির ফিরিয়ে দেন আসার জাইদি (৮) ও শুভাগত হোমকে (২)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিকের অভিজ্ঞতার সাথে পেরে ওঠেননি আমির। ম্যাচে জয়-পরাজয় ছাপিয়েও অবশ্য আলোচিত ছিলো আরেকটি বিতর্কিত ঘটনা। ২ রানে তিলকরত্নে দিলশানের ধাক্কায় উইকেটে পড়ে গিয়ে রানআউট হয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ারের মনে হয়েছে, ইচ্ছে করেই বাধা দিয়েছিলেন দিলশান। রানআউট না দিয়ে উল্টো পেনাল্টি করা হয় চিটাগংকে, অতিরিক্ত হিসেবে ৫ রান পায় কুমিল্লা। ওই ঘটনায় যেন তেতে গিয়েছিলেন ইমরুল। খেলছিলেন দারুণ। শেষ পর্যন্ত সেই দিলশানের বলেই আউট হয়েছেন ইমরুল (২৮ বলে ৩৫)। দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থেকেও ছন্দ পাচ্ছিলেন না আহমেদ শেহজাদ। ১৩ ওভার শেষেও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের রান ছিলো ৩৩ বলে ২১! পরে তাসকিনকে টানা তিনটি চার মেরে রান-বলের ব্যবধান কমিয়েছেন। কিন্তু পুরোপুরি পুষিয়ে আসতে পারেননি শুরুর মন্থরতা। উইকেট দিয়ে এসেছেন স্বদেশি ভাট্টিকে (৪১ বলে ৩৭)। কুমিল্লাও তখন পড়ে গিয়েছিল অনিশ্চয়তায়। ডাগ আউটে মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত মাশরাফির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন মালিক। চিটাগং ১৩৬ করতে পেরেছিল উমর আকমলের শেষের ঝড়ে। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিত্তির পর বাকিদের ব্যর্থতায় দলকে প্রায় একাই টেনেছেন আকমল। শোয়েব মালিককে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়ে চিটাগংকে একটু ভড়কে দিয়েছিলেন মাশরাফি।