স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আনোয়ারুজ্জামান (৩৫) একই সাথে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা বলেছেন, তিনি আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ও আলমডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া আলীম মাদরাসায় চাকরি করেন। বেতনও তোলেন। দুটি প্রতিষ্ঠানই আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিতে গেলে, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম জানান, তিনি আমাদের কলেজে চাকরি করেন এটা সত্য। তবে তার এমপিও হবে না। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে তাকে রাখা হয়েছে। অপরদিকে, আলমডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া আলীম মাদরাসার সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি আমাদের নিয়মিত শিক্ষক। তিনি যে ওই প্রতিষ্ঠানে কৌশলে ক্লাস নেন তা আমার জানা নেই। আমি জানি তিনি সেখানে পার্টটাইম ক্লাস নিয়ে থাকেন। এদিকে শিক্ষানীতি মালার ৯নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোন শিক্ষক যদি এমপিও বা নন এমপিও দুটি প্রতিষ্ঠানে একত্রে চাকরি করেন তাহলে এজন্য উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ দায়ী থাকবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে দাফতরিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নেই। তবে কোনো শিক্ষকই দু প্রতিষ্ঠানে একসাথে চাকরি করতে পারবে না। যদি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমীন জানান, সরকারি নীতিমালার বাইরে কোনো শিক্ষক যদি কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই শিক্ষক যে দু প্রতিষ্ঠানে একই সাথে চাকরি করছে তা আমার জানা ছিল না। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।