স্টাফ রিপোর্টার: মরদের মুরোদ নেই বাড়ি নিয়ে ছেলে বউ রাখতে, এখন এসেছে দরদ দেখাতে! এ কথা শুনে মরদ তথা স্বামী ওয়াহেদুজ্জামান খোকা তার স্ত্রী মনিকা আক্তার উর্মীকে মারপিট শুরু করে। ঠেকাতে গেলে খালাশাশুড়ি ও শাশুড়িকে মারপিটে রক্তাক্ত জখম করেছে জামাই ওয়াহেদুজ্জামান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু নারী উপরোক্ত অভিযোগ করে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, দর্শনা আজিমপুর মাঠপাড়ার ফরিদ দেয়ানের ছেলে ওয়াহেদুজ্জামানের সাথে একই গ্রামের মিণ্টুর মেয়ে উর্মীর সাথে আনুমানিক আড়াই বছর আগে বিয়ে হয়। এদের সংসারে এক সন্তানও আসে। মাঝে ওয়াহেদুজ্জামান তার স্ত্রী উর্মীকে মারধর করে। উর্মী শিশুসন্তান নিয়ে পিতার বাড়িতে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরেই উর্মী তার পিতার বাড়িতে। গতকাল ওয়াহেদুজ্জামান খোকা তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখে ছেলে খালি গায়ে। সোয়েটার পরানো হয়নি কেন? প্রশ্ন তুলে উগ্র আচরণ করতে থাকে। এ সময় উর্মী বলে, অতো দরদ দেখাতে হবে না। যদি দরদই থাকতো তা হলে ওকে আর পরের বাড়ি থাকতে হতো না। মুরোদ নেই মরদের, দরদ আছে! এ কথা শুনে ওয়াহেদুজ্জামান খোকা উর্মীকে মারপিট শুরু করে। ঠেকাতে গেলে উর্মীর খালা শেফালীকে কিল ঘুষি মেরে আহত করে। ছুটে গেলে উর্মীর মা হাসিকেও মারধর করে। রক্তাক্ত জখম হন তিনিও। হাসি ও শেফালীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।