স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিকূলতার মধ্যেও পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তৃণমূলের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি খসড়া থেকে দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতে কারাবন্দি অনেক নেতার নামও আছে। নামের তালিকা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম কেন্দ্র থেকে পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। জোটের শরিকদের সাথে সমঝোতা হলে বিএনপির দলীয় তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিধিমালা অনুযায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়ন করবেন। গতকাল শুক্রবার সারাদেশে বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজ এ চিঠি সংশ্লিষ্ট জেলার রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। মোহাম্মদ শাহজাহানের তিনটি নমুনা স্বাক্ষর সত্যায়িত করেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া। এই তিনটি স্বাক্ষরের যে কোনো একটি দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকতে হবে। তবেই তিনি দলের প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। আজ প্রত্যয়নকারীর নাম ও নমুনা স্বাক্ষর জমা দেয়ার শেষ দিন।
জানা গেছে, যুগ্মমহাসচিব শাহজাহানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূল থেকে পাঠানো নেতাদের নাম নিয়ে কাজ করেন। নানা ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিকভাবে খসড়া তালিকা তৈরি করেন। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ তালিকা থেকে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেন। জোটের শরিকদের বাইরে রেখেই বিএনপি দলীয় প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে। কৌশলগত কারণে কোথাও কোথাও একাধিক প্রার্থী রাখা হয়েছে। তবে অধিকাংশ স্থানে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়রের নাম প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নন অথচ স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমেজের ব্যক্তির নামও স্থান পেয়েছে চূড়ান্ত এ তালিকায়। চূড়ান্ত তালিকায় নাম আছে এ ধরনের অধিকাংশ নেতা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। যারা বাইরে আছেন, তাদের সাথে প্রচারে নামার মতো সমর্থক পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মী-সমর্থকরা ভয়ে নেতার সাথে নির্বাচনী প্রচারে নামতেও ভয় পাচ্ছেন। দলীয় প্রতীক ধানের শীষকেই ভরসাস্থল হিসেবে দেখছেন প্রার্থীরা। তাদের মতে প্রতীকের কারণেই তারা নির্বাচনে জয় লাভ করবেন।