ভারতের সাথে আগের সব রুট চালুতে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সংযোগ এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর থেকে বন্ধ থাকা সীমান্ত সড়কগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ থাকা সীমান্ত সড়কগুলো পুনরায় খুলে দিতে চাই। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংযোগ এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ভারতের মেঘালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন। স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. অলকা শর্মা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। সাক্ষাত্ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। দু দেশের জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, উভয় দেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি দু দেশের মধ্যেকার সীমান্তহাটের কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকা-শিলং-গোহাটি বাস সার্ভিস প্রসঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পদক্ষেপ দু দেশের মধ্যে সংযোগ এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিশেষ বিলটি অনুমোদনের সময় ভারতীয় পার্লামেন্টের লোকসভা ও রাজ্যসভার সকল সদস্যকে প্রথমবারের মতো একমত ও ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন এবং সহায়তার কথা স্মরণ করেন।
বৈঠকে ড. অলকা শর্মা এ অঞ্চলের যোগাযোগ জোরদারে দু দেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। ছাত্র ও শিক্ষক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আইসিটি ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার খাতে দু দেশের এক সাথে কাজ করার চমত্কার সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশ চমত্কার উন্নয়ন সাধন করেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।