স্টাফ রিপোর্টার: ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া বাংলাদেশের সাহসী নারী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন, এসএ টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আনজাম খালেক ও ইত্তেফাকের সাব-এডিটর লাজীনা জ্যাসলিনকে সংবর্ধনা দিলো খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি প্রদীপ চৌধুরী।
সভাপতি নুরুল আযমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ও ৭১ টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন, এসএ টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আনজাম খালেক ও ইত্তেফাকের সাব-এডিটর লাজীনা জ্যাসলিন, জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সাদিয়া আফরিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে তাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। নাদিয়া শারমিন তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে বড় ছোট কোনো শব্দ নেই, সবাই সাংবাদিক। কিন্তু সবাইকে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে তার কাজের দ্বারা যেন কোনো একটি জাতি বা দেশের ক্ষতি না হয়। মফস্বল অঞ্চলে যেন নারী সাংবাদিকরা নির্দ্বিধায় কাজ করতে পারে সে পরিবেশটা সৃষ্টি করে দেয়া সকলের দায়িত্ব। এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য মহানগর শহরগুলোর মতো মফস্বল শহরগুলোতেও নারী সাংবাদিকরা কাজ করতে আগ্রহী হবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন সরকারসহ নিবার্হী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিল চত্বরে হেফাজত ইসলামের কর্মসূচি চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু উগ্র হেফাজত কর্মীর হামলার শিকার হন তৎকালীন একুশে টেলিভিশনের রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন। ওইদিন নাদিয়া ছাড়াও অনেক সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালায় হেফাজত কর্মীরা। হামলার পরও পেশাগত দায়িত্ব থেকে চুল পরিমাণ সরে না গিয়ে সাহসিকতার নিদর্শন দেখায় নাদিয়া। যার স্বীকৃতি স্বরূপ ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।