জীবননগর ব্যুরো: মেয়ের ওপর নির্যাতন আর নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছিলেন না পিতা ডাবলু। তাইতো সে তার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু জামাই তাতে বাধ সাধে। গতকাল শুক্রবার করিমনযোগে জামাতাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে জামাতা শ্বশুরের ওপর হামলে পড়ে। ঘাড়ে করে ছুরিকাঘাত। গুরুতর আহত ডাবলুকে প্রথমে জীবননগর ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন ডাবলুর জখম গুরুতর। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। গতকাল শুক্রবার খয়েরহুদা-কাশিপুর রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের ডাবলু তার মেয়েকে মেদিনীপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন বাবুর সাথে বিয়ে দেন। মেয়ে পক্ষের দাবি উজ্জ্বল সন্ত্রাসী প্রকৃতির। সে ঢাকায় থেকে অনৈতিক কাজকর্ম করে থাকে। একই সাথে সে তার স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে থাকে। মেয়ের ওপর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পিতা ডাবলু তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে স্কুলে ভর্তি করে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ডাবলু জামাতা উজ্জ্বলকে মনোহরপুর হতে করিমনযোগে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় চলন্ত করিমনে শ্বশুরের ওপর চাকু নিয়ে হামলে পড়ে জামাতা উজ্জ্বল। সে তার নিকট লুকিয়ে রাখা ধারালো চাকু দিয়ে ডাবলুর ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। ডাবলু এ সময় উজ্জ্বলের নিকট হতে ছুরি ছিনিয়ে নিলে সে করিমন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ডাবলুকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গভীর ক্ষত দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।