ইলেকশন ডেকোরেশন

???????????????????????????????

গাংনী প্রতিনিধি: ইলেকশন ডেকোরেশন। প্রো. তেজারত আলী। তিনি নির্বাচনের সকল প্রকার মালামাল, পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। সারাজীবন সুদব্যবসা করে বড়লোক হওয়া জব্বার আলীর শখ জাগে চেয়ারম্যান হওয়ায়। তিনি আসেন তেজারতের দোকানে। নির্বাচনের জনসভায় লোক সরবরাহ থেকে শুরু করে ভাষণের জন্য বক্তাসহ পাশ করার সব প্রতিশ্রুতি নিয়ে কিছু বায়না করে বাড়ি ফেরেন। এভাবে একের পর এক বিভিন্ন প্রার্থীরা আসেন তেজারতের দোকানে। দোকানীর চেয়ে চালাকির এক ধাপ এগিয়ে তার কর্মচারী ফজু মিয়া। কাস্টমার প্রার্থীদের পটাতে মালিকের চেয়ে তার ভুমিকাই বেশি। এতে আরো বেশি আকৃষ্ট হন প্রার্থীরা। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে ইলেকশন ডেকোরেশন নাটকের একেটি চরিত্রের অভিন। মেহেরপুর গাংনীর সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম লিখেছেন নাটকটি। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা মিলনায়তনে মঞ্চায়িত নাটকটি দর্শকদের হাঁসির খোরাকের পাশাপাশি বিনোদনে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী পরিবেশের বাস্তবতা থেকে নাটকটি লিখেছেন তিনি। নাটকের মাঝামাঝি পর্যায়ে মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। জব্বার মিয়া হারিকেন, মতলব মিয়া কাচকলা ও মুন্না ভাই বাঁশ প্রতীক নিয়ে জনসভা ও গণসংযোগে নেমে পড়েন। বিশেষ দোকান থেকে পরামর্শ নিয়ে সমাজের বিশেষ কর্মকাণ্ডের জড়িত এসব প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমে পড়েন। প্রার্থীরা যতোই চালাকি করুক না কেন তাদেরও চেয়েও অনেক চালাক ভোটারও রয়েছেন। তাদেরই একজন চতুর আলী ও আতর আলী। যে প্রার্থী তাদের কাছে যায় তাদেরকেই প্রাণভরে সমর্থন দেন। এর বিনিময়ে নেন কাড়ি কাড়ি টাকা। সব প্রার্থীই মনে করেন এর দুজন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের জোগান দেবেন।
এদিকে ব্যতিক্রম প্রার্থী ঈমান আলীর নেই টাকা-পয়সা, নেই ক্যাডার-মাস্তান। সৎ ও সততা তার একমাত্র পুঁজি। চতুর ও আতর আলীর মতো মানুষদের তিনি বোঝাতে সক্ষম হন যে বাঁশ, হারিকেন ও কাঁচকলা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হলে সামাজিক অবস্থা কি দাঁড়াবে। এভাবে একে একে সকলেই তার দিকে আকৃষ্ট হতে থাকে। একটি সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় তিনি চেষ্টা করছেন বলে ধারণা জন্মে ভোটারদের মাঝে।
মঞ্চায়নের আগ মুর্হূতে নাটকটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরেন নাট্যকার শফিকুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। বক্তব্য রাখেন কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশিদ রিজভী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আল আমিন ধূমকেতু। ঘন্টা বাজিয়ে নাটকের শুভযাত্রা করেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন। গাংনীর একঝাঁক তরুণ নাটকটিতে জীবনের প্রথম অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন দর্শকদের। পেশাদার অভিনেতাদের মতোই অভিনয় করে দর্শকদের করতালিতে ভূষিত হন। এরা হচ্ছেন- ফিরোজুল, জীবন, মুন্না, নাহিদ, বাপ্পি, মানিক, ডরিন, মশিউর, শাহীন, রকি, ইমরান ও সজিব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবু সায়েম পল্টু।

???????????????????????????????
???????????????????????????????