সাজানো সংসারে অশান্তির আগুন ধরিয়ে অতিষ্ঠ শফিকুলের বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: গোপনে দু নৌকায় পা দিয়ে বেকায়দায় পড়ে বিষিয়ে উঠেছে সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার এমএলএসএস শফিকুল ইসলামের জীবন। ফলে জীবনই আর রাখবো না বলে বিষপান করেছেন তিনি। গতরাত ৮টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পল্লি চিৎলা হুদাপাড়ার আকরাম হোসেনের ছেলে। তার শয্যাপাশে থাকা লোকজন বলেছেন, শফিকুল সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখায় এমএলএস পদে চাকরি করে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে তিন ছেলে-মেয়ে। সুখেই কাটছিলো শফিকুলের দাম্পত্য জীবন। বছর খানেক আগে একই গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে জরিনাকে বিয়ে করে। সম্প্রতি তা জানাজানি হলে সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নেবে কি নেবে না তা নিয়ে দোলাচালে পড়ে। গ্রামের অনেকেই বলতে শুরু করেন সুখে থাকতে শফিকুলকে ভূতে কিলিয়েছে। কিলোনিতেই টেনে নিয়ে গেছে দু নৌকায়। ব্যচারি দু নৌকায় পা দিয়ে বিষিয়ে ওঠেছে। এরই মাঝে দ্বিতীয় স্ত্রী যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলাও করেছে। শফিকুল তুলেছে অন্যের হাত ধরে চলে যাওয়ার অভিযোগ। এসবেরই এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যায় বিষপান করে সে। তাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এ সময় তার শয্যাপাশে থাকা মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এতো সুন্দর সাজানো সংসারে টেনে আনলো অশান্তির আগুন। ওই জরিনাই তো ধরিয়েছে এই আগুন। ওর জন্যই মরতে বসেছে ছেলে।