বিশ্ব হোক অসাম্প্রদায়িক, শুধুই মানবতার

অবশ্যই ধর্মীয় অনুশাসন সভ্যতাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এখন? এ কোন সভ্যতায় পৌছেছি আমরা? যেখানে হিংসা আর হিংসা। সহিষ্ণুতা? পুরোটাই উপুড় হয়ে উবে যাওয়ার উপক্রম!

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ধর্মীয় অনুশাসনেরই পরিপন্থি। আবার যখন কোনো ধর্মকে কোনো পক্ষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠী কলঙ্কিত করতে নানা পাঁয়তারা শুরু করে তখন তাকে উসকে দেয়া ছাড়া কিছুই যেমন বলা যায় না, তেমনই কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অন্যের উসকানিতে উগ্র হয়ে জঙ্গি তকমা নেয়। তবে মনে রাখতে হবে, যে ধর্মেরই হোক, উগ্রতা দেখায় যারা তারা ওই ধর্মের সকল অনুসারীর প্রতিনিধি নয় নিশ্চয়। ফলে ধর্মান্ধ গুটিকয়েকের জন্য ধর্মটাকে যেমন খাটো করা যায় না, তেমনই ওই ধর্মীভুক্ত মানেই ভেতরে ভেতরে উগ্রতা লালন করে তা বলা উচিত নয়।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে হামলা হয়েছে। এর আগে একই দেশে একটি কার্টুন নির্ভর পত্রিকা অফিসে হামলা হয়। সে দফা হত্যার সংখ্যা অল্প হলেও গত শুক্রবারে একই সাথে একই শহরের কয়েকটি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। নিহত হয়েছে ১২৯ জন। আহত অনেক। তদন্ত শুরু হয়েছে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তুলে ধরেছে। তাছাড়া হামলার সময় জেহাদি স্লোগান দেয়া হয় বলেও সংবাদ মাধ্যম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে। কেন হামলা? পত্র-পত্রিকায় যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা হলো- ‘সিরিয়ায় ইসলামী স্টেট নামের একটি সংগঠন যুদ্ধ শুরু করেছে। সিরিয়ায় এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সও যুদ্ধ করছে। এরই পাল্টা জবাব’।

যুদ্ধেও যোদ্ধাদের ছাড়া অন্য কাউকে কি মারা যায়? অথচ প্যারিসে নির্বিচারে অতোগুলো মানুষকে মারা হলো। এ নৃশংসতার ধিক্কার না জানালে সভ্য বলা কি চলে? বিশ্ব হোক অসাম্প্রদায়িক, শুধুই মানবতার।