মাথাভাঙ্গা মনিটর: তাসমান পাড়ের দু দেশের দ্বৈরথে প্রথম কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক করেছেন রস টেইলর। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের বড় সংগ্রহকে ছুঁয়ে ফেলার খুব কাছে নিউজিল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৫১০ রান নিয়ে পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচশ স্পর্শ করলো কিউইরা। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিলো ৯ উইকেটে ৫৫৯ রানে। তৃতীয় দিন শেষে ২৩৫ রানে অপরাজিত রস টেইলর। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের এটি ৫৪তম টেস্ট, কিন্তু এই প্রথম দ্বিশতকের স্বাদ পেলেন কোনো কিউই ব্যাটসম্যান। ১৯৮৫ সালে গ্যাবায় মার্টিন ক্রোর ১৮৮ ছিলো আগের সর্বোচ্চ। টেস্টে এটি টেইলরের দ্বিতীয় দ্বিশতক। ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডানেডিনে করেছিলেন ২১৭। রোববার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের পথে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ৫ হাজার রানও ছাড়িয়েছেন টেইলর। ব্যক্তিগত মাইলফলকের আগে কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে টেইলর গড়েছেন জুটির রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে ২৬৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে কোনো জুটিতেই এটি নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান। আগের সেরা জুটি ছিল নাথান অ্যাস্টল ও অ্যাডাম প্যারোরের ২৫৩, এই পার্থেই ২০০১ সালে। দ্বিশতক করতে না পারলেও আরেকটি বড় ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। আগের টেস্টে ১৪০ ও ৫৯ করার পর এবার করেন ১৬৬! উইলিয়ামসন-টেইলরের জুটি জমে গিয়েছিল আগের দিনই। তৃতীয় দিন সকাল থেকে দুজন ব্যাট করেছেন দাপটে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ওভারপ্রতি চারের বেশি রান তুলেছেন দুজন।
উইলিয়ামসন শতক তুলে নেন লাঞ্চের আগেই। ৪৩ টেস্টে নিজের দ্বাদশ শতক করে ছাড়িয়ে যান দেড়শও। শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভেঙেছে দ্বিতীয় নতুন বলে। জশ হেইজেলউডকে তুলে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসন ক্যাচ দেন মিড অনে। নামের পাশে তখন ২৫০ বলে ১৬৬। টেইলর নিজের ১৩তম টেস্ট শতক ছুঁয়েছেন ১৩৫ বলে। শতকের পর আরও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ইনিংস জুড়ে খেলেছেন দারুণ সব ড্রাইভ। মিচেল স্টার্ককে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে দ্বিশতক ছুঁয়েছেন ২৫৪ বলে। কোনো কিউই ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় দ্রুততম দ্বিশতক। পরে ম্যাককালাম (২৭), ওয়াটলিং (১) রান না পেলেও টেইলর ছিলেন স্বরূপেই। চতুর্থ দিন শুরু করবেন আরও বড় কিছুর আশায়। ব্যাটসম্যানদের দাপটের দিনে আলোচনায় ছিলো ম্যাচের বল ও এক বোলারও। দ্বিতীয় নতুন বলে প্রথম স্পেলে গতির ঝড় তুলেছিলেন মিচেল স্টার্ক। টেলরকে করা একটি বলে ছাড়িয়েছেন ১৬০ কিলোমিটার গতি! স্পিডগানে গতি উঠেছিলো ১৬০.৪ কিমি, টেস্ট ইতিহাসে এটি রেকর্ডে থাকা সবচেয়ে দ্রুতগতির বল। দ্বিতীয় দিন শেষেই এ টেস্টের বল নিয়ে সমালোচনা করেছিলো দু দলই। এ কুকাবুরা বল নরম হয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুতই। তিন দিনে বল পাল্টাতে হয়েছে ৯ বার!