দেশের টুকরো কবর

স্বাচিপের ওপর নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নির্বাচনের ভার স্বাচিপের নেতাকর্মীদের ওপরই ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাচিপের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সম্মেলন সফল হোক। আপনারাই আপনাদের নেতা নির্বাচন করুন। জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ভোটের মাধ্যমে হবে না-কি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবে- এ নিয়ে সংগঠনের নেতাদের মধ্যে গুঞ্জন ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর গুঞ্জনের অবসান হলো। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রতি দু বছর অন্তর সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিধান রয়েছে। কিন্তু বিগত ১২ বছর সংগঠনটি কোনো সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আপনাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসে, সুচিকিৎসার পাশপাশি তাদের সাথে আপনারা ভালো ব্যবহার করবেন। আপনার কথা, ব্যবহারের কারণেও রোগী অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবনযাপন উন্নত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সবারই চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। হতদরিদ্র মানুষ যেন দেশে চিকিৎসাবঞ্চিত না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তারদের অধিকতর সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

জাপানি নাগরিক হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ৩

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রংপুরে জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি’র হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে। আটককৃতরা হলেন রংপুর কোতোয়ালী  থানার শালবন শাহীপাড়ার মোহাম্মদ হানিফের ছেলে রাজিব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমন (২৫), সেন্ট্রাল রোড জুম্মাপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে কালা রুবেল (২৭) ও শারবন মহল্লার শ্রী বাবূল চন্দ্র বর্মনের ছেলে কাজল চন্দ্র বর্মন (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তুল, ১টি রিভলবার ,১টি ম্যাগজিনসহ ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৫’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোবাশ্বের রহিম জানান, বহিরাগত অপরিচিত কয়েকজন যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বিদিরপুর ও সাতনইল মহল্লায় অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব রাত ১টা থেকে দেড়টার সময় ওই দুই এলাকায় অভিযান চালায়।

 

বাগেরহাটে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে স্ত্রী খুন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যৌতুকের দাবিতে দু কন্যাসন্তানের জননী মিনা বেগমকে (৩৪) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পুলিশ কনস্টেবল কাওসার শেখ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে পুলিশ সদস্য কাওসার। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কনস্টেবল কাওসার বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত। নিহতের ভাই ভাই মো. কামরুজ্জামান খান জানান, ১৯৯৬ সালে বাগেরহাট সদরের বেমরতা গ্রামের এন্তাজ উদ্দিনের ছেলে কাওসারের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কাওসার যৌতুকের দাবিতে তার বোন মিনাকে চাপ দিতে থাকে। বোনের সুখের কথা ভেবে চার ভাই মিলে বোন জামাই কাওসারকে বিভিন্ন সময়ে ৩ লাখ টাকা দেই। তার পরও মিনাকে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করতো। তিনি জানান, তার বোনকে কাওসার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বাগেরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউল আলম জানান, পুলিশ কনস্টেবল কাওসার কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে সে তার স্ত্রী মিনাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে ঘরের মধ্যে তার দু শিশুকন্যাকে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালমর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মিনা বেগমের মেয়ে জেএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার কনা (১৩)  ও ছোট মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার বন্যা (১০) জানায়, তার বাবা কাওসারের সাথে প্রায়ই তার মায়ের ঝগড়া হতো এবং মারপিট করতো। বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মিঠু জানান, পুলিশ কনস্টেবল কাওসারের পারিবারিক কলহ নিয়ে তিনি একাধিকবার সালিস বৈঠক করেছেন। যৌতুক লোভী কাওসার পুলিশে চাকরি করলেও সে মাদকাসক্ত হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলো।