আলমডাঙ্গায় মায়ের পরকীয়ায় অনিশ্চিত ভবিষ্যত শিশুকন্যা জান্নাতুলের

?????????????

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মায়ের পরকীয়ায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে আড়াই বছরের শিশুকন্যা জান্নাতুলের জীবন। মা আলমডাঙ্গার হোসেনপুরের গৃহবধূ সীমার পরকীয়ার ফলে এ দুর্যোগ নেমে এসেছে শিশুকন্যার ভাগ্যে। কে পাবেন শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব? এ প্রশ্নের মিমাংসা করতে গতকাল আলমডাঙ্গা থানা প্রাঙ্গণে বসে ৩ গ্রামবাসির বৈঠক।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেগুয়ারখালীর ভাদু মণ্ডলের মেয়ে সীমা খাতুনের (২২) প্রায় ৬ বছর আগে বন্দরভিটা গ্রামের জহুর মণ্ডলের ছেলে সাহেব আলীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্ব থেকে সীমা খাতুন তার মামাতো ভাই হোসেনপুর গ্রামের লিটনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের ৩ বছর পর সীমার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যা জান্নাতুল। কিন্তু এরপরও তাদের সম্পর্ক থেমে থাকেনি। শিশুকন্যার বয়স যখন আড়াই বছর, তখন মা সীমা খাতুন পরকীয় প্রেমিকের হাত ধরে পালায়। প্রায় দেড় মাস আগে সে পালিয়ে গিয়ে লিটনকে বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। গত ৫ অক্টোবর সীমা খাতুন স্বামীকে কোর্টতালাক দেয়। প্রায় ১ মাস পূর্বে তারা ফিরে এসে প্রেমিক লিটনের নিজ গ্রাম হোসেনপুরে বসবাস শুরু করলে শিশুকন্যাটির অভিভাবকত্বের অধিকার নিয়ে বিপত্তি বাধায় পূর্বের স্বামী। এ নিয়ে ২৩ অক্টোবর হোসেনপুর গিয়ে তিনি গ্রামবাসীর সহযোগিতায় শিশুকন্যাকে সীমার নিকট থেকে নিজের নিকট নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সীমা খাতুন শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব দাবি করে শিশুকন্যাকে ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করে। এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য গতকাল থানা চত্বরে হোসেনপুর, বেগুয়ারখালী ও বন্দরভিটা গ্রামের মানুষ জড়ো হয়। পরকীয়া জুটির নিকট শিশুকন্যাটি নিরাপদ নয় বিবেচনা করে শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব তার পিতা সাহেব আলীকে দেয়া হয়। সালিস বৈঠকে শিশুকন্যাটি একবারের জন্য মায়ের নিকট যাওয়ার আগ্রহ দেখায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা উল্লেখ করেছেন।