জিটুজি প্লাসে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো পেছালো

স্টাফ রিপোর্টার: বেসরকারি রফতানিকারকদের যুক্ত (জিটুজি প্লাস) করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি পিছিয়ে গেছে। দু দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের সাথে সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়ায় খসড়া প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এটি নতুনভাবে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

অনিয়ম ও প্রতারণার কারণে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো মালয়েশিয়া। দীর্ঘ চেষ্টার পর ২০১২ সালের নভেম্বরে আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য খোলে। তবে ওই সময় থেকে কেবল দু দেশের সরকারি পর্যায়ে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে (জিটুজি) কর্মী পাঠানো হচ্ছে, যা নিয়ে বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের আপত্তি রয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে সাগরপথে মানবপাচার, গণকবর ও নির্যাতন নিয়ে সমালোচনার মধ্যে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী নেয়ার প্রস্তাব দেয়।

প্রথমে জনশক্তি পাঠানোর কাজটি বেসরকারি পর্যায়ে (বিটুবি) ছেড়ে দেয়ার কথা হলেও শেষ পর্যন্ত মালয়েশীয় প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বৈঠকে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদেরও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। একেই বলা হচ্ছে ‘জিটুজি প্লাস’। এ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের হাতে। সরকার চাইলে এ কাজে বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদেরও যুক্ত করতে পারবে।