চুয়াডাঙ্গা সদর ইউএনওর হস্থক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো স্কুলছাত্রী

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো তিতুদহ ইউনিয়নের ছিলনদিপাড়ার অস্টম শ্রেণির ছাত্রী হালিমা ওরফে মৌসুমী। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছিলনদিপাড়ার মোশারফ হোসেনের মেয়ে ৮ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা ওরফে মৌসুমির বিয়ে ঠিক হয় জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে জমির আলীর সাথে। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বর পক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে উপস্থিত হলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামানের নির্দেশে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন মৌসুমীকে। এ সময় পুলিশ বর এবং কনে পক্ষের লোকজনের মুচলেকা নেয়। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে বিয়ে না দেয়ার পরামর্শ দেয় পুলিশ সদস্যরা। এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের এসআই কাইয়ুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এরপরেও যদি এ বাল্যবিয়ে পড়ানোর ব্যাপারে যারা সহযোগিতা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a comment