গাংনীর তেঁতুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের

 

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের রিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় এমদাদুল হক নামের এক শিক্ষানুরাগী। শূন্য পদ না থাকা ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মেহেরপুর সহকারী জজ আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক রমজান আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাসকে।

অভিযোগে জানা গেছে, জনবহুল ওই এলাকায় বিদ্যালয়টি পাঠদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু কুচক্রী বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের কোনো শূন্য পদ না থাকলেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবৈধভাবে এলাকার নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী ও তৎকালীন সভাপতি কিছু অসাধু ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। চলতি বছরের ২৬ মে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত এলাকায় অপ্রচলিত একটি দৈনিক কাগজে বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ‘গ’ শাখায় একজন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ বিদ্যালয়ের শাখার অনুমোদন কিংবা শূন্য পদ নেই। নিয়ম অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিতদের দায়িত্বভার গ্রহণের সময় পর্যন্ত নিয়োগ প্রদানসহ যাবতীয় ক্ষমতা রদ করা হয়। কিন্তু আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অর্থের লোভে তফসিল ঘোষণার পরে তিনজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য করতেই প্রধান শিক্ষক রাজনৈতিক অস্থিরতার অজুহাতে নির্বাচন বন্ধের সুপারিশ এবং সুবিধাজনক সময়ে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত আবেদনও করেছিলেন। যার ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

এদিকে শুধু নিয়োগ বাণিজ্যই নয় তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তার পরিষদ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেন বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য। কোনো কাজ না করেই প্রধান শিক্ষক সে অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলাটি এখন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান।