বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
স্টাফ রিপোর্টার: ব্লগার, প্রকাশক ও দেশ-বিদেশি নাগরিকের পর এখন দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে পুলিশ। একের পর এক হামলা চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। এসব টার্গেট কিলিঙেয়ের ঘটনায় ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মধ্যে। এমনকি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কিংবা আততায়ীদের দেখামাত্র গুলি করাসহ সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরে জরুরি বৈঠক শেষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশ সদর দফতর থেকে ই-মেইলযোগে দেশের সব কটি রেঞ্জের ডিআইজি ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।
লেখক-প্রকাশক-ব্লগার, দেশি-বিদেশি নাগরিক হত্যার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ বিশিষ্টজনরা। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা এবং সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তাহলে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? শাসক দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকেও পুলিশের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে কথা উঠেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ বিশিষ্টজনরা পুলিশ বাহিনীকে দলীয় প্রভাববলয় থেকে মুক্ত রেখে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেয়ার পরামর্শ দেন। শক্তি প্রয়োগের ফল সব সময় ভালো হয় না মন্তব্য করে তাদের আশঙ্কা এতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ সংঘাত-সহিংসতা বেড়ে যেতে পারে।
বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ খুনিদের গ্রেফতারে সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে বলেন, ‘আপনাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণেই বা প্রযুক্তির স্বল্পতার কারণেই অনেক সময় তাৎক্ষণিকভাবে বা খুব দ্রুত তদন্ত করে আসামিকে ধরা হয়তো সম্ভব হয়নি।’ এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, পুলিশের ওপর হামলা সত্যিই অস্বাভাবিক ঘটনা। মনে হচ্ছে তারা নিজেরাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পুলিশ যদি নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তাহলে জনমনে আতঙ্ক আরও বাড়বে। মানুষের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হবে যে যাদের কাজ নিরাপত্তা দেয়া তারাই নিরাপত্তাহীন। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, আসল কাজের পরিবর্তে নকল কাজের পেছনে পুলিশ দৌড়ানোর কারণে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের উচিত রাজনৈতিক কারণে অহেতুক যেসব মালা হচ্ছে তার পেছনে না দৌড়িয়ে প্রকৃত অপরাধী এবং সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা। ড. শাহদীন মালিক বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাববলয় থেকে মুক্ত থেকে দেশের, দেশের মানুষের এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেশাগত ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাবে।
সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ অবস্থায় যে কেউ যে কোনো সময় খুন হতে পারেন, আহত হতে পারেন, বেইজ্জত হতে পারেন। তিনি আরও বলেন, যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর অবসান হওয়া উচিত। এজন্য গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পরিস্থিতি উত্তরণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় প্রভাব মুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে এটি ভালো কথা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শক্তি প্রয়োগের ফলাফল সবসময় ভালো হয় না। এতে করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ সংঘাত-সহিংসতা আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস দমনে আমেরিকা হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। বিভিন্ন দেশে শক্তি প্রয়োগ করেছে। লাভ হয়নি, বরং সন্ত্রাসবাদ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমেরিকার ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তা না হলে পরিণাম আরও ভয়াবহ হবে। হয় তো আমরা একদিন এমন জায়গায় চলে যাব, যেখান থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হবে না। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সত্যিকারের অপরাধী এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাজের সর্বত্র সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই শুধু বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, জঙ্গিসহ সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এ কারণেই হয় তো এখন তারাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কাছে প্রধানতম টার্গেট। জনমনে ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক আরও বাড়ানোর জন্য তারা এ পথ বেছে নিয়ে থাকতে পারে। তবে আশঙ্কার বিষয়টি হচ্ছে, পরপর দুজন পুলিশ সদস্য হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার প্রশ্নটি সামনে উঠে এসেছে। বিষয়টি সত্যিই চিন্তার এবং উদ্বেগের। তিনি আরও বলেন, তবে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। পুলিশের ওপর হুমকি যতো বাড়বে, আত্মরক্ষার সক্ষমতাও ততো বাড়তে থাকবে। মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, পুলিশ বাহিনী জনসাধারণের সাথে মিলেমিশে কাজ করে। এ কারণে তারা হয় তো তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেন না। এক্ষেত্রে তাদের আরও প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতরের দেয়া সাত দফা নির্দেশনার মধ্যে সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ছাড়াও দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। অন্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে টহলে কিংবা চেক পোস্টে দায়িত্ব পালনকালে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য একত্রে থাকা, দায়িত্ব পালনের সময় পর্যাপ্ত অস্ত্র এবং গুলি সাথে রাখা, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, লেগগার্ড, হেলমেট পরা। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের পোশাক পরে একাকি চলাফেরা না করা এবং নির্দেশ ছাড়া কোনো পুলিশ সদস্য থানা, পুলিশ লাইনস বা ব্যারাকের বাইরে না যাওয়ারও কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যেই তারা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছেন। সারাদেশে পুলিশের টহল জোরদারসহ চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহৃত অস্ত্র সব সময় লোডেড রাখতে বলা হয়েছে। আর মেট্রোপলিটন এলাকার চেক পোস্টগুলোতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি তল্লাশি চালানোর সময় অস্ত্র তাক করে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আশুলিয়ার ঘটনার পর থেকে এখানেও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। নিজেদের জান, মাল ও অস্ত্র রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রত্যেক সদস্যকে। এছাড়া চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও পরতে বলা হয়েছে। যাতে এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনা মোকাবেলা করা যায়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা হলে তারা বসে থাকবে না। অবশ্যই কাউন্টার অ্যাটাক করবে। ইতোমধ্যেই এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও সে সামর্থ্য রয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দু বিদেশিসহ একের পর এক হত্যাকে গভীর ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, দেশবিরোধী চক্রের সদস্যরা একের পর এক পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করছে। এ অবস্থা আর সহ্য করা হবে না। সারাদেশে পুলিশকে এ ব্যাপারে হার্ডলাইনে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জানমাল, রক্ষা এবং দেশের সম্পদ রক্ষায় এখন থেকে পুলিশ গুলি করতে পারবে। ইতোমধ্যেই এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ড. জাবেদ পাটোয়ারী।
ৱ্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সন্ত্রাসীরা কৌশল পাল্টালে আমরাও কৌশল পাল্টাবো। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করবে আর আমরা বসে থাকবো সেটা হবে না। সন্ত্রাসী কিংবা আততায়ী দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও গুলি চালাবে। গত ৩৮ দিনে দুর্বৃত্তদের হামলায় দু বিদেশি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ আটজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন ইতালির নাগরিক সিজারি তাভেল্লা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মাত্র ৫ দিনের মাথায় ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ফেইথ বাইবেল চার্চের বাসায় ঢুকে যাজক লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা হয়। একই দিন রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় গলা কেটে হত্যা করা হয় বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান পীর খিজির খানকে। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকলে সারাদেশে পুলিশকে সকর্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। বাড়ানো হয় পুলিশের টহল ও চেক পোস্ট। দেশের সব কটি বিমানবন্দর ছাড়াও ৬৮ কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। এর মধ্যেই ২২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গাবতলীতে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান পুলিশের এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা। এর পরের দিন ২৩ অক্টোবর পুলিশের সতর্কতার মধ্যেই পুরনো ঢাকার হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে বোমা হামলায় এক শিশু নিহত ও অন্তত দেড়শ’ মানুষ আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা যান। এখনও এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এর একদিন পর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। ৩১ অক্টোবর দুপুরে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনকে। একই সময় মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কর্ণধার আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ বুধবার সাভারের আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ায় শিল্প পুলিশের কনস্টেবল মুকুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশ চেকপোস্টে। এ ঘটনায় নূর আলম নামে আরও একজন আহত হন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।