মাদরাসাছাত্র নির্যাতনকারীর গ্রেফতার ও শাস্তি দাবিতে গাংনীর হাড়াভাঙ্গায় মানববন্ধন

???????????????????????????????

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ ফাজিল মাদরাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল হোসেন নির্যাতনের ঘটনায় এখন ক্ষোভে উত্তাল হাড়াভাঙ্গা এলাকা। নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে একাট্টা গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। একের পর এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যদিয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগ পাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদরাসার সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের বক্তারা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন। ঘটনার সাত দিন অতিবাহিত হলেও আজও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা। অপরদিকে নির্যাতনের সময় মাদরাসা অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের রহস্যময় ভূমিকার কারণে তার অপসারণ দাবি করেছে এলাকাবাসী।
কাজিপুর কেএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কিতাব আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বক্তারা বলেন, এক বিবেকহীন অভিভাবক শিশু ইসমাইলকে নির্যাতন করে চরম বর্বরতা দেখিয়েছেন। যা এলাকার মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। নির্যাতনকারী শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফুল কসাইয়ের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা। ঘটনার সময় অধ্যক্ষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় নির্যাতনকারী নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছে অভিযোগ তুলে বক্তারা আরো বলেন, অধ্যক্ষের সহযোগিতার কারণেই তারা মাদরাসা চলাকালীন সময়ে মাদরাসার ভেতরের এমন ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস পেয়েছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের হুমকি দেন বক্তাদের কয়েকজন।
অনান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ ফাজিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম সরকার, সহকারী শিক্ষক সামসুল আলম স্বপন, সাবেক ইউপি সদস্য আলিউল আজিম শাহীন, বয়োবৃদ্ধ নাইম উদ্দীন ও আবু সায়েম প্রমুখ।
গত ২৮ অক্টোবর শ্রেণিকক্ষে ইসমাইল হোসেন ও সহপাঠী সায়েমের বেঞ্চে বসা নিয়ে গণ্ডগোলের জের ধরে সায়েমের পিতা আলমগীর ও চাচা শরিফুল কসাই মাদরাসায় ঢুকে ইসমাইলকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। শিশুটি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে নির্যাতনকারী দু ভাই ও মাদরাসা অধ্যক্ষের নামে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন মামলার তিন আসামি।

???????????????????????????????
???????????????????????????????