স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফিল্ম সঙ্কটের কারণে সব ধরনের এক্স-রে করা বন্ধ রয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ বন্ধ থাকায় রোগী সাধারণ বাইরে থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন। এতে যেমন ভোগান্তি আর দুর্ভোগ বেড়েছে, তেমনি বাড়তি খরচ হচ্ছে তাদের। বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্যাথলজিতে এক্স-রে করাতে গিয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ টাকা গুণছেন তারা। তার সাথে গুণতে হচ্ছে ডাক্তারের কমিশনও। কর্তৃপক্ষ বলছে ফিল্ম আসতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কোরবানির ঈদের সময় থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগটি বন্ধ রয়েছে। এ বিভাগের দরজায় লিখে দেয়া হয়েছে ‘এক্স-রে করা বন্ধ।’ প্রায় দেড় মাস বিভাগটি বন্ধ থাকলেও কবে খোলা হবে তা জানে না সাধারণ রোগীরা। বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের রোগীরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে বাইরের কোনো প্যাথলজিতে। সেখান থেকে আবার ফিরতে হচ্ছে হাসপাতালে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পা ভাঙা বা হাঁটাচলা করতে পারে না এমন রোগীরা। তাদেরকে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে। মরিয়ম নামের একজন রোগী জানান, ‘হাসপাতালে যে এক্স-রে ৮০ টাকায় হয়, সেই এক্স-রে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্যাথলজিতে করাতে গেলে খরচ হয় দ্বিগুণ। তার সাথে ডাক্তারদের কমিশনও কেটে রাখা হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সেলিম হোসেন জানান, ‘আমরা সিভিল সার্জনের কাছে ফিল্মের চাহিদাপত্র দিয়েছি। কবে নাগাদ ফিল্ম সরবরাহ করা হবে তা জানি না।’ এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানা বলেন ‘এক্স-রে ফিল্ম বছরে একবার আসে। টেন্ডারের মাধ্যমে তা বরাদ্দ দেয়া হয়। কার্যক্রম চলছে। নতুন ফিল্ম আসতে আরও কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।’