দর্শনা পৌর নির্বাচনে দলের সমর্থনের আশায় দলীয় কার্যালয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা

হারুন রাজু/হানিফ মণ্ডল: চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই দর্শনা পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ডিসেম্বর মাসেই। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষছেন প্রার্থীরা। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ থাকলেও বর্তমানে তাদের টপকেছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দর্শনা পৌর শহরের মহল্লার মোড়ে মোড়ে, বাজার, বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের দোয়া, সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করে ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার সাটানো হয়েছে। সেই সাথে বসে নেয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। দর্শনা পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা শহর। জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও আ.লীগ, বিএনপিসহ অন্য দলের পক্ষ থেকে দলের প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
দর্শনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রায় দু যুগ পেরিয়েছে। এরই মধ্যে দর্শনা পৌরসভাকে ২য় শ্রেণিতে উন্নিত করা হয়েছে। ২য় শ্রেণির পৌরসভা হলেও সেবার মান ৪র্থ শ্রেণির পৌরসভার চেয়েও কম। বারবার হয়েছে ক্ষমতার হাতবদল। কিন্তু বদলায়নি পৌরবাসীর ভাগ্য। ১৯৯১ সালের ২৭ নভেম্বর দর্শনাকে পৌরসভায় রূপ দেয়া হয়। পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করা হয় পরের বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত দর্শনা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা প্রয়াত আক্তারুল ইসলাম আক্তার। আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা মহিদুল ইসলাম, সাবেক মেয়র দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, এমপি আলী আজগার টগরের সহদোর দর্শনা পৌর আ.লীগের দফতর সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু, দর্শনা পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহারুল ইসলাম মাস্টার, জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী জামায়াত নেতা আশকার আলী।