গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী ও ঠিকাদার ইব্রাহিম আদেল রুমেলের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক। পৌর এলাকায় নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল সোমবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাংনী পৌর সভার ২/১ নং প্রকল্পের খবির উদ্দীনের বাড়ি থেকে চৌগাছা গুচ্ছগ্রাম মোড় পর্যন্ত এইচবিবি করণের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৮ টাকা, ২/৬ নং প্রকল্পের বাঁশবাড়িয়া মনি মাস্টারের বাড়ি থেকে ছহির উদ্দীনের জমি পর্যন্ত রাস্তা এইচবিবি করণ এবং প্রকল্প নং ৩/৪৯ এ গাংনী পৌর অফিস বাথরুম ও থানা ভবন সংস্কার করার জন্য তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সিডিউলের শর্ত মোতাবেক এক নম্বর ইট ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তার চেয়ে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ্যাপোলো কনস্ট্রাকশন ফার্মের প্রোপাইটার ইব্রাহিম আদিল রোমেনকে এক নম্বর ইটের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এতে ঠিকাদার ও পৌর মেয়র পরস্পর যোগসাজসে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টির রেকর্ডপত্রসহ দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠালে মামলা দায়েরের অনুমোদন পায় দুদক কুষ্টিয়া। সেমতো গতকাল দুপুরে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল।
গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুক্তার হোসেন জানান, গতকালই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবে দুদক। এটি পুলিশের কোনো বিষয় নয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে দুদুক। এদিকে গাংনী পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী জানান, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। রাস্তা নির্মাণকাজের সাথে মেয়রের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়মনীতি অনুযায়ী কাজ হয়। তাই দুর্নীতির সাথে কোনো অবস্থায় তিনি জড়িত নন। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্যই বেশ কিছুদিন আগে থেকে এসব অভিযোগ উত্থাপন করে একটি পক্ষ। দুদুকের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছেন দুদক কুষ্টিয়া অফিস। তদন্তে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকেও এ মামলার আসামিভুক্ত করা হবে বলে দুদক কুষ্টিয়া সূত্রে জানা গেছে।