স্টাফ রিপোর্টার: দু দল যুবকের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে হামলা পাল্টা হামলার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তা রক্তক্ষয়েতে রূপ নিয়েছে। ঘটেছে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা। ঘটনা প্রবাহ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে হাসপাতাল এলাকার অধিকাংশ দোকানই রাত ৮টা বাজতে না বাজতে বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চক্ষু হাসপাতালপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে শুভর বাড়িতে একদল যুবক হানা দেয়। শুভকে না পেয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর পরই সদর হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই পাল্টা হামলার শিকার হন চুয়াডাঙ্গা জিনতলাপাড়ার তালেবুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফি (২৫) ও শান্তিপাড়ার সুরুজ আলীর ছেলে আলম (২৮)। দুজনকে মারধর করার এক পর্যায়ে হামলাকারী যুবকদল রফিককে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। রফিকুল ইসলাম রফি ঘটনার আধাঘণ্টার মাথায় ফিরে নিজেকে যুবলীগ কর্মী বলে দাবি করে বলেন, বিস্কুট পাউরুটির ব্যবসা করি। আমাকে ধরে নিয়ে আরামপাড়াস্থ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অদূরবর্তী একটি বাড়ির সামনে নিয়ে মারধর করা হয়। খুনের হুমকিও দেয়া হয়। কাছে থাকা টাকা হামলাকারীরা কেড়ে নিয়েছে। দুটি মোবাইলফোনও ছিনিয়ে নিয়েছে হামলাকারীরা। এ অভিযোগ আহত রফিকুল ইসলাম রফির।
কেন হামলা? পাল্টা হামলা? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে স্থানীয় একাধীক সূত্র বলেছে, গত ২৫ অক্টোবর ঈদগাপাড়ার অটোচালক মিল্টন সিনেমাহলপড়ায় গিয়ে একদল যুবকের হামলার শিকার হয়। মারধর করে। মিল্টন হাসপাতাল এলাকায় ফিরে ঘটনার বর্ণনা দেয় শান্তিপাড়ার সুমনদের কাছে। পরদিন নূরনগরের আব্দুল করিমের ছেলে রিংকু হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই হামলার শিকার হয়। দৌড়ে হাসপতালের জরুরি ওয়ার্ডে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পায়নি। সেখানেও তাকে পিটুনির শিকার হতে হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত পরশু শুক্রবার রাতে শান্তিপাড়ার সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরই জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় শুভর বাড়িতে হামলা হয়। পাল্টা হামলা চলিয়ে হাসপাতাল গেটে আহত করা হয় রফিকুল ও আলমকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেছেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। রফিকুল ইসলাম রফির ভাই শফিকুল ইসলাম থানায় নালিশ করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।