স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৪ ও ২০১৫ সালের হালনাগাদে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় এক কোটি ভোটার বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাবেন না। ভোটার তালিকায় নাম এবং এনআইডি নম্বর থাকলেও তাদেরকে কার্ড দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এসব ভোটারকে একবারে স্মার্টকার্ড দেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ সেই স্মার্টকার্ড হাতে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি সিইসি। ইসির ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সর্বাধুনিক স্মার্টকার্ডের জাতীয় পরিচয়পত্র।
২০১৪ সালে হালনাগাদে ৪৭ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৫ সালের হালনাগাদ এখনো চলমান। ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০৫ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন তাদের ছবি তোলা ও নিবন্ধনের কাজ চলছে। এসব ভোটারের বিদ্যমান ন্যাশনাল আইডি কার্ড বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি কাজী রকিব জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটি নতুন ভোটারকে স্মার্টকার্ড দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এদের সবার জন্যই এনআইডি নম্বর দেয়া হবে, যেটা ব্যবহার করে জরুরি কাজ চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। ইসির তথ্য অনুযায়ী এক কোটি ভোটারের মধ্যে অনলাইনে সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হিসেবে ব্যবহারের জন্য পরিচিতি বিবরণী সেবা পাচ্ছেন মাত্র ৪৭ লাখ ভোটার। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ইসির ওয়েবসাইটে (www.ec.org.bd ও www.nidw.gov.bd) লগ ইন করে নির্ধারিত তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের ছবি, নাম, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতা, এনআইডি নম্বর ও ঠিকানাসহ সাদা কাগজে প্রিন্ট ভার্সন সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রিন্টেড ভার্সনের এ পরিচিতি বিবরণীর ওপর সাময়িক পরিচয়পত্র লেখা থাকবে না, তবে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়নি উল্লেখ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না নতুন ভোটাররা। ফলে ভোটার হওয়ার পরও তারা এনআইডি থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, ভোটার হওয়ার সময় নাগরিকদের একটি স্লিপ দেয়া হয়। সেই স্লিপের ডান পাশে উপরের দিকে একটি নম্বর থাকে। সেই নম্বরটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই পরিচিতি বিবরণী চলে আসবে। এ পরিচিতি বিবরণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও থাকবে। সেটা প্রিন্ট করে নিয়েই ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ যাবতীয় কাজ করা যাবে। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানও ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে ভেরিফাই করতে পারবে। বিদ্যমান কার্ডধারী ৯ কোটিরও বেশি ভোটারের পরিচয়পত্রের সংশোধনের সুযোগ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়। সবার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার অংশ হিসেবে এসব ভোটারের তথ্য সংশোধনে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন জানানোর আহ্বান জানিয়েছিল ইসি। আগামীকাল শনিবার ৩১ অক্টোবর ছুটির দিন হওয়ায় এই সময়সীমা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। তবে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, পরবর্তীতেও পরিচয়পত্রের সংশোধনের সুযোগ থাকবে। ১৮ বছরের নিচে সাড়ে ২৫ লাখের তথ্য সংগ্রহ
বিশ্বব্যাংকের আগ্রহে ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের এবারই প্রথমবারের মতো তথ্য সংগ্রহ করে ইসি। তবে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া না গেলেও ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৫ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সচিবালয়।