শরিফ রতন: দামুড়হুদা উপজেলার সব চেয়ে বড় ইউনিয়ন কার্পাসডাঙ্গা। আগামী মার্চ মাসের দিকে অনুষ্ঠিত হবে কার্পাসডাঙ্গা ইউপি নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে খানিকটা আগেভাগেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় নীতি নির্ধারকদের কাছে করছে দেন দরবার। নিজেদের জনপ্রিয়তা জাহির করতে আগাম মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। শুরু করেছেন মোটরসাইকেল শোডাউন, নির্বাচনী গণসংযোগ, দোয়া ও ভোট প্রার্থনা। অনেক প্রার্থী প্রকাশ্য প্রচার প্রচারনায় মাঠে নামলেও কেউ কেউ চালিয়ে যাচ্ছেন নীরব প্রচার-প্রচারণা। সম্ভাব্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশী যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্ট ও উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি শহিদুল হক, আ.লীগ নেতা আ. করিম। ইউয়িন বিএনপির সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বিশ্বাস এবং দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নায়েব আলী। তবে প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়তে ও কমতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে নানা ভাবে। এদের মধ্যে আ. করিম প্রতিদিন মোটরসাইকেল শোডাউনসহ বিভিন্নভাবে অব্যাহত রেখেছে প্রচার-প্রচারণা। থেমে নেই খলিলুর রহমান ভুট্ট তিনিও দলীয় মনোনয়ন পেতে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। অন্যদিকে আ.লীগের অপর প্রার্থী শহিদুল হক পিছিয়ে নেই প্রচার-প্রচারণায় দলীয় মনোনয়ন পেতে যোগাযোগ রাখছেন দলীয় নেতাদের সাথে। তাছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কাশেম মুখ না খুললেও দলীয় মনোনয়ন পেলে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বিশ্বাস বেশ জোরেসোরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মোটরসাইকেল শোডাউনসহ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় অব্যাহত রেখেছেন। জামায়েতের উপজেলা আমির মিটিং-মিছিল না করলেও বেশ কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। সকাল-বিকেল চায়ের দোকানে শোনা যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা। তবে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেই জানা যাবে কে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী।