স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের পর বউ না টেকায় মানসিকভাবে উদাসীন হয়ে পড়ে শামীম। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর ধরে উদাসীন উড়নচণ্ডির মতো চলাচলের পর যখন আনসার বাহিনীতে চাকরি নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্নে বিভোর, ঠিক তখনই অভিমানি করে তুললো তাকে। লাশ পাওয়া গেলো বাড়ির অদূরবর্তী আমবাগানের একটি গাছে। শামীম (২৫) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ার মিকাইল হোসেনের ছেলে। গতকাল বুধবার সকালে পার্শ্ববর্তী মহিলাকলেজপাড়ার একটি আমবাগানের আমগাছ থেকে তার গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর মর্গে নেয়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। বিকেলে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
শামীমের অপমৃত্যুর জন্য অনেকেই তাকে বুঝতে না পারাটাকেই দায়ী করেছেন। বুঝতে পারেননি কে? কেউ কেউ বলেছেন, পিতা। শামীমকে উঠতে-বসতেই বকা খেতে হয়েছে। তার বন্ধুমহল বলেছে, আনুমানিক ৪ বছর আগে শামীমের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় বউ ফিরে যায় বাপের বাড়ি। স্বামীর ঘরে আর আসেনি। সেই থেকেই শামীমকে উদাসীনতায় পেয়ে বসে। মানসিকভাবে যেন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। অন্যের আয়বুড়ো ছেলেদের মতো নয় বলে শামীমকে ঘুরে ফিরেই বকা খেতে হয়েছে। আশ্রয় নিতে হয়েছে চাচার কাছে। অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরে সে কাজ করে স্বনির্ভরতা অর্জন করে আবারও বিয়ে করবে বলে পাত্রীও পছন্দ করে। আনসার বাহিনীতে চাকরি নিয়ে ট্রেনিঙে যায়। সেখান থেকে পরশু ফেরে। বাড়িতে ফিরেই শুনতে হয় বকাঝকা। এতে অভিমানি হয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। স্থানীয়রা এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, সমাজে আত্মহত্যা প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।