গাংনী প্রতিনিধি: সমাজ থেকে শুরু করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে সবার মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এতে বৃদ্ধি পাবে রাজনৈতিক চর্চা এবং ফিরে আসবে স্থীতিশীলতা। তাই বর্জন করতে হবে সহিংসতা, পরনিন্দা, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সংঘাত। দুষ্কৃতীকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বর্জন করে শাদা মনের মানুষগুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে। নারী-পুরুষের সমতা ঠিক রাখতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে। সংযত আচরণের মধ্যদিয়ে নিশ্চিত করতে হবে প্রতিপক্ষের অধিকার। তাহলেই সংঘাত এড়িয়ে সম্প্রতির বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। গতকাল সোমবার মেহেরপুর গাংনী উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধন সৃষ্টিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির লক্ষ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সুজন সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রউফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা আরজুমান বানু, প্রাক্তন ব্যাংকার আক্তারুজ্জামান অল্ডাম, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন, সুজন সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক আবু সায়েম পল্টু, নারী নেত্রী লাইলা আরজুমান বানু শিলা, শাহীনা পারভীন, জাপা রওশন গ্রুপ জেলা সম্পাদক এসএম ফয়েজ, প্রভাষক মহিবুর রহমান মিন্টু, দিলরুবা, হাঙ্গার প্রজেক্ট যশোর এরিয়া সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম ও গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন। সম্প্রীতি বাড়াতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় ও দাবি আপত্তি এবং সুপারিশ করতে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করার মতামত প্রকাশ করেন বক্তাদের অনেকেই।