মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনী দালানে বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া তাদের দূতাবাস স্টাফ ও নাগরিকদের প্রতি উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। দেশ দুটি এই মুহূর্তে জনাকীর্ণ স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে তাদের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলেছে, ঢাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকদের একটি সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৪ অক্টোবর শনিবার ওই বিস্ফোরণে একজন নিহত ও বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের জন্য উচ্চমাত্রার সন্ত্রাসী হুমকি রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের জনাকীর্ণ স্থান, বিশেষ করে যেখানে পশ্চিমা নাগরিকদের উপস্থিতি বেশি, তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের জন্যেও প্রায় একই ধরনের সতর্কতা জারি ও পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, পুরান ঢাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশে বেশ কিছু হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের স্টাফদের শুধু গাড়িতে করে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিচ্ছে। তাছাড়া এর আগে জনাকীর্ণ স্থান, বিশেষ করে বিদেশীদের অবস্থান, এড়িয়ে চলার যে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল তা বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেছে, আপনাদের অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এর আগে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এবং মার্কিন দূত মার্সিয়া বার্নিকাট। শনিবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ঢাকাস্থ দূতাবাসের ফেসবুকে এক বার্তায় শিয়াদের ওপর বোমা হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বোমা হামলায় নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বার্নিকাট বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ আখ্যায়িত করে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার অঙ্গীকারও করেছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনও তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। রবার্ট গিবসন শনিবার এক টুইট বার্তায় বলেন, তাজিয়া মিছিলে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে। এ ধরনের হামলা ও অসহিষ্ণুতা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।