বেতন ফ্রি হাফ ফ্রি না করায় মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মায়ের শ্লীলতাহানির মামলা?

স্টাফ রিপোর্টা: মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর মা কুপ্রস্তাবসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। এ বিষয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ‘খ’ শাখার এক ছাত্রী জানুয়ারি মাসে ভর্তির পর থেকে বেতন পরিশোধ করেনি। মানবিক কারণে শুধু অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফিস জমা নিয়ে তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই ছাত্রীর মা শহরের মণ্ডলপাড়ার ফিরোজা খাতুন একাকি বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণি শিক্ষক মহাসিন আলীর অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার নিকট বেতন দিতে গিয়ে ফ্রি-হাফ ফ্রি’র কথা বলেন। বিষয়টি অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান অবগত হলে তিনি ছাত্রীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেখেন এবং খারাপ রেজাল্ট দেখে ফ্রি বা হাফ ফ্রি করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। প্রভাষক মফিজুর রহমান ও শিক্ষক মাহবুবা সুলতানা জানান, এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাবক ফিরোজা খাতুন চেয়ার ছেড়ে উঠে অধ্যক্ষের জামার কলার চেপে ধরে তাকে লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে তিনি পায়ের স্যান্ডেল খুলে অধ্যক্ষকে মারতে উদ্যত হলে চেয়ারে পা বেঁধে তিনি পড়ে যান। ওই সময় তারা ক্ষিপ্ত অভিভাবক ফিরোজা খাতুনের হাত থেকে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে রুমের বাইরে পাঠান। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ জানান, অভিভাবক ফিরোজা খাতুন আমাকে লাঞ্ছিত করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি রীতিমতো জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তাকে মারের মিথ্যা অভিযোগ করে বিচার চেয়েছেন। ফিরোজা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তে তার প্রতিনিধির সামনে উপস্থিত না হয়ে আমার বিরুদ্ধে তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন।