চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চুরি-ছিনতাই সিন্ডিকেট বিরোধী পুলিশি অভিযান হরিণাকুণ্ডু নারায়ণকান্দির আক্তার মেম্বার গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আন্তঃজেলা ছিনতাই সিন্ডিকেটের সদস্য ও মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলার আসামিসহ বহু অপকর্মের হোতা হরিণাকুণ্ডু নারায়ণকান্দির ইউপি সদস্য আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আক্তারের নিজ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আক্তার আলমডাঙ্গা উপজেলার গলায়দড়ি ব্রিজ থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আগে গ্রেফতারকৃত আসামি রামদিয়ার সলোক।

জানা গেছে, গত ৯ জুন রাত ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামের নিকটবর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সীমান্তবর্তী গলায়দড়ি ব্রিজ নামক স্থানে ছিনতাইকারীরা ঘোষবিলা গ্রামের মৃত নবীন মণ্ডলের ছেলে দুলাল মণ্ডলের মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুলাল। মোটরসাইকেলের মালিক তার মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য নিজেও বিভিন্ন জায়গায় ও ব্যক্তির নিকট যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে জানতে পারেন রামদিয়ার সলোক নামের এক ব্যক্তি আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটের সমন্বয়কারী। তিনি ছিনতাই করা জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। দুলাল সলোকের নিকট মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য সহায়তা চায়লে সলোক মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার মকবুল হোসেন, এসআই জসিম ও জামজামি ফাঁড়ি পুলিশের আইসি লিয়াকত আলী এক অভিযান পরিচালনা করে রামদিয়া থেকে সলোককে গ্রেফতার করেন। সলোক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত আক্তার মেম্বার, মজনু, কালুর নাম বলে। সলোকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাথানপাড়ার মৃত পটি মণ্ডলের ছেলে মজনু ও একই গ্রামের বাজারপাড়ার মৃত আলফাজ মণ্ডলের ছেলে কালুকে আটক করে। আটককৃতরা পুলিশের নিকট ছিনতাই ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে স্বীকার করে। এমনকি ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি আক্তারের কাছে আছে বলে তারা পুলিশের নিকট স্বীকার করে। গতকাল আলমডাঙ্গা থানার এসআই মহাব্বত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হরিণাকুণ্ডু থানার নারায়ণকান্দি গ্রামে মৃত আবু বক্কর আলীর ছেলে আক্তারকে গ্রেফতার করেন। আক্তারের বিরুদ্ধে এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতিসহ জামজামি গ্রামের নিকবারের ছেলে মন্টুর নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ারও অভিযোগ আছে। আজ শনিবার গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট মামলায় জেলহাজতে সোপর্দ করা হতে পারে।